মহিলারা ছোট পোশাক পরে পানশালায় নাচলে তা ভারতীয় সংবিধানে অপরাধ বলে গণ্য হবে না। দিল্লিতে এমনই এক মামলার রায়তে জানালো আদালত। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত সাত জন যুবতিকে করা হলো বেকসুর খালাস।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার একটি পানশালায় ৭ জন যুবতী এবং ওই পানশালার কর্তৃপক্ষের উপর মামলা দায়ের হয়। সাত জন যুবতীর উপর অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠে। অশ্লীলভাবে নাচানাচি করায় বেশ কয়েকজন আপত্তি জানায়। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ছোট পোশাক পরে এবং অশ্লীলভাবে নাচানাচি করে তারা সমাজে খারাপ বার্তা বহন করছে। যুবতীদের এমন আচরণ ভারতীয় সংস্কৃতি বিরোধী।
এর আগে ভারতবর্ষের বিখ্যাত গায়িকা ঊষা উথ্থু যখন কলকাতার একটি নামকরা পানশালায় গান গেয়ে অন্ধকার রাতকে করে তুলতেন আলো মুখরিত ও প্রাণোচ্ছল, অথবা বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী হেলেন, সাহসী পোশাকে নাচ করে কাঁপাতেন অসামুদ্রিক হিমাচল, তখনও কি তাদের সামাজিক শ্লীলতা এবং অশ্লীলতার যাঁতাকলে পড়তে হয়েছে? নানান মহলে উঠছে প্রশ্ন।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ধারায় এই সাত জন তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। দিল্লির তিসহাজারি নিম্ন আদালত এই মামলার রায় দান করে। প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া হয় পানশালার সিসিটিভি ফুটেজ।
দুই পক্ষের কথা শুনে অবশেষে বিচারক নীতু শর্মা বলেন, “অভিযুক্ত মহিলারা শরীর অনাবৃত কোনও পোশাক পরেননি। তাঁদের নাচেও অশ্লীল কিছু দেখা যায়নি। আর যে গানে তাঁরা নাচানাচি করছেন, সেগুলো নিয়ে সমাজে আপত্তি নেই।” তিনি সাত জন যুবতী সহ পানশালার ম্যানেজারকে বেকসুর খালাস করে জানান, “এখন ছোট পোশাক পরা কোনও অপরাধ নয়। বারে গিয়ে নাচানাচি করলেও কারও বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা হতে পারে না।