নিউজ ডেস্ক : রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। তারে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ। মূলত তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যেকার বাকযুদ্ধে কখনো কখনো দুই পক্ষের বাক যোদ্ধারা সীমালংঘন করে যাচ্ছেন অবলীলায়। এবার রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সব সীমা অতিক্রম করে গুন্ডামির পরিভাষায় রাজ্য সরকারকে হুমকি দিলেন। গতকাল বামন ঘাটা চা-চক্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, যেদিন মারতে শুরু করব সেদিন ব্যান্ডেজ বাঁধা জায়গা পাবেন না। রাজনৈতিক বোদ্ধা থেকে বুদ্ধিজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন একটা সর্বভারতীয় দলের প্রাদেশিক শাখার সভাপতি এবং ভারতীয় সংসদের একজন সদস্য কিভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন গুন্ডামির পরিভাষা ব্যবহার করতে পারেন। এর আগেও দিলীপ ঘোষকে এই ধরণেরই বহু মন্তব্যের জন্য বিতরকের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
এদিন সকালেও আরও একবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তোলেন তিনি। আর সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করেই শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “যেদিন সত্যি সত্যি মারতে শুরু করব, ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা পাবে না।” বৃহস্পতিবার রাত থেকে দফায় দফায় চলা কোচবিহারের হিংসা নিয়েও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের হারার সম্ভবনা যত বাড়ছে তত হিংস্র হচ্ছে। আরও খুন বাড়বে। পুলিশকে পুরো নপুংসক বানিয়ে রাখা হয়েছে।” উল্লেখ্য, শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডল কেতুগ্রামের সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ এখানে এসে মেরে দেব, কেটে দেব বলছে। মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না। তারাই প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।” সেই আক্রমণের পালটা হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষ দিলেন বলেই মনে করছেন অনেকে।