
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাজদিয়া বানপুর গেদে রোডের ধারে এক চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার অর্ধবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। রবিবার সকালে ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে তাঁরা জমির পাশে রক্তে ভেসে থাকা মহিলার দেহ প্রথম দেখতে পান। শরীরজুড়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গলার কাছে গভীর ক্ষত ছিল বলে জানা গেছে। দ্রুত কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
পুলিশের তরফে জানা গেছে, মৃতার পাশ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও একটি হাতব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটির হাতে ‘মুক্তি’ নামটি লেখা ছিল, যা থেকে হয়তো তাঁর পরিচয় জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তঘেঁষা এই অঞ্চলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের অবাধ যাতায়াত নিয়েই দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়রা। অনেকের ধারণা, এই নির্মম হত্যার পেছনেও তাদেরই হাত থাকতে পারে। কারণ, মৃতদেহে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল, যা থেকে স্পষ্ট যে এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং ঠান্ডা মাথার খুন।
এলাকার বাসিন্দা মিলন মণ্ডল বলেন, “রেলগেটের ধারে জমির মধ্যে এমন নির্মমভাবে কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখে শিউরে উঠেছি। যে কেউ আতঙ্কিত হবে এমন দৃশ্য দেখে। প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনের ব্যর্থতাই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে দিচ্ছে। এখনই যদি সরকার ও পুলিশ কড়া পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।”
এদিকে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে অমরনাথ জানান, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ওই মহিলার পরিচয় জানার পাশাপাশি, ঘটনার পেছনে কারা দায়ী, তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।”