এনবিটিভি: করোনা কেড়েছে কাজ। দিন দিন বাড়ছিল দেনার পরিমাণ। অবসাদে ট্রেনের কামরায় আত্মঘাতী যুবক। দুই সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের তাঁতি পরিবার। করোনা প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। তার জেরে আরও অনেকের মতো কাজ হারান বারুইপুরের চিরঞ্জিত তাঁতি। এলাকার একটি হোটেলে রাঁধুনির কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় হোটেল। কর্মহীন হয়ে পড়েন চিরঞ্জিত। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন তিনি। জমানো সামান্য টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সংসার চালাতে দেনাও করেন। সম্প্রতি দেনা শোধের জন্য পাওনাদারেরা চাপ দিতে শুরু করে। শুক্রবার দাদার কাছে ৫০ টাকা চেয়েও পায়নি চিরঞ্জিত। পরিবারের দাবি, এর পর গভীর রাতে বাড়ির অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে অকূল পাথারে চিরঞ্জিতের সদ্য বিধবা স্ত্রী।