“আপনার দুটো পায়ে ধরলে কি এবার খুশি হবেন?”,মুখ্যসচিবকে তলব বিতর্কে মোদীকে কটাক্ষ মমতার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে না থাকা নিয়ে তুমুল বিতর্কের জেরে শনিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ কথায় ভাষায় অভিযোগ করলেন, বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে। কিন্তু পরে সূচি বদলে সেই বৈঠক বিজেপির দলীয় বৈঠকে পরিণত হল। কেন এরকমটা হবে? বৈঠকের সূচি কেন পাল্টানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সওয়াল করেন, যদি পর্যালোচনা বৈঠকে বিজেপির প্রতিনিধি থাকে তাহলে কেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি? গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে কি ডাকা হয়েছিল? আমরা তো কোনও নিয়ম ভাঙিনি, আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সূচি ঘোষিত হয়। সংবাদমাধ্যমে অসত্য খবর দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সংবাদমাধ্যমকে চাপ দিয়ে মিথ্যা খবর করা হচ্ছে।

মমতা এদিন সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে হার হজম না করতে পেরে এইভাবে আমাকে বদনাম করা হচ্ছে। যাঁদের বৈঠকে থাকার কথা নয় তাঁদেরও বৈঠকে রাখা হচ্ছে। কিছু ফাঁকা চেয়ার দেখিয়ে আমাদের ছোট করা হচ্ছে। যখন আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে দিয়েছি, তারপরে কেন আর চেয়ার বসে বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে?”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই আমাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয়। এক মিনিটের জন্য সাক্ষাতেও এমন ব্যবহার!” এরপরেই মমতার কটাক্ষ, “বাংলায় হার হজম করতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্র। বৈঠকে না থাকার জন্য প্রতিহিংসার জন্য মুখ্যসচিবকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কী দোষ, যাঁকে ৭২ ঘণ্টা আগে তিন মাসের জন্য এক্সটেনশন দেওয়া হল, তাঁকেই আবার জরুরি তলব করা হচ্ছে দিল্লিতে। গোটা দেশের কাছে আমাকে যে ভাবে অপমান করানো হয়েছে তাতে খুব দুঃখিত।”

মমতা আরও বলেন, “আপনারা শুধু আমাকেই ডিস্টার্ব করছেন না, এবার আমাদের প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও বিরক্ত করছেন। আমি যদি আপনার দুটো পায়ে ধরি তাহলে যদি খুশি হোন, তাহলে বাংলার জন্য তা করতেও রাজি। কিন্তু মুখ্যসচিবের উপর প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি বলেই কি রাগ? বাংলা-বাঙালির উপর এত রাগ কেন আপনাদের?”

Latest articles

Related articles