পাশবিক! পেনশনের লোভে যুবক ৭ বছর লুকিয়ে রাখলেন নিজের মায়ের মৃতদেহ

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নৈতিক মূল্যবোধ এবং মানবিকতার অবক্ষয়ের ফলে সব থেকে অবহেলিত হতে দেখা যায় পিতা মাতাদের। সারাজীবন তাদের হাত ধরে ছোট থেকে বড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ছেলেটা নানা কারণে পিতা মাতাকে নিজের কাঁধে অপ্রয়োজনীয় বোঝা মনে করে। নির্মম হলেও সত্য তাদের মধ্যে বেশিরভাগের ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে। কেউ কেউ বাড়িতে থাকতে পারলেও জোটে শুধুই অবজ্ঞা, অবহেলা এবং অপমান। কিন্তু এই বৃদ্ধ বাবা মায়ের প্রতি সব দায়িত্ব অস্বীকার করেও ছেলে তাদের থেকে পাওয়া যায় এমন সব কিছু কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিতে কার্পণ্য করেনা। আর এবার এমনই এক ঘটনা দেখা গেল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। তবে এটা আর পাঁচটা ঘটনার মতো নিচু মানের স্বার্থপরতার ঘটনা নয়। এটা পাশবিক এক নির্মম কাহিনী। কাহিনীতে এক ছেলে সাত বছর ধরে মায়ের মৃ’তদেহ একটি অ্যাপার্টমেন্টে সংরক্ষণ করে রেখেছে শুধু মাত্র মায়ের পেনশন তোলার জন্য। ঘটনার মূল অপরাধী সাসা নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে প্যারিসের পু’লিশ। খবর নিউজ উইকের।

 

 

 

সার্বিয়ান বংশোদ্ভূত ৪৭ বছর বয়সী সাসা নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে অপ’রাধ স্বীকার করেন পুরো ঘটনা। তার মায়ের নাম জল্গাকা। ৭৫ বছর বয়সী এই নারী ক্যান্সারে আ’ক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে মা’রা যান।

 

সাসা জানান, তার বাড়িতে মৃতদেহ টি তার অ্যাপার্টমেন্টে সংরক্ষণ করে রেখেছিল। দীর্ঘ দিন পচনের ফলে গন্ধ আসায় সে গন্ধ আসার জায়গা গুলো ফোম দিয়ে বন্ধ রাখে। মায়ের অনুপস্থিতির ব্যাপারে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের জবাবে সে জানায়,তার মা জীবনের অন্তিম দিনগুলো নিজের দেশ সার্বিয়ার কাটাতে গিয়েছেন।

 

ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে একটি বাথরুমে তার মায়ের মৃ’তদেহ খুঁজে পায় পুলি’শ। মৃত’দেহটি মমি করে তারপুলিন দিয়ে মুড়িয়ে একটি স্যুটকেসে রাখা ছিল। সম্প্রতি অ্যাপার্টমেন্ট মালিক তাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় বেরিয়ে আসে এ ঘটনা।

Latest articles

Related articles