করোনাভাইরাসের যে নতুন ধরন ইংল্যান্ডে ছড়িয়েছে, তা হয়ত অনেক বেশি প্রাণঘাতী। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা এমনই প্রমাণ পেয়েছেন। জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইংল্যান্ডে এই নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণ হয়। ইউরোপের অন্য দেশেও এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে ইংল্যান্ডের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশ। সংক্রমণে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন না বলে আগেই জানান
বিবিসি জানাচ্ছে, ইংল্যান্ডে দুটি করোনার টিকা প্রয়োগের কাজ চলছে। এই টিকা করোনার নতুন স্ট্রেন কে রুখতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডন ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন স্ট্রেন খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। তেমনই এতে মৃত্যুর হারও বেশি হতে পারে।
বিবিসি জানাচ্ছে, ইংল্যান্ডে করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীরা সব দিক খতিয়ে দেখছেন। নিউ ইমার্জিং রেসপিরেটরি ভাইরাস থ্রেটস অ্যাডভাইজরি গ্রুপ (নেভারটাগ) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন ধরনের ভাইরাস ততটা বেশি প্রাণঘাতী এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ দাবি করার এখনো দেরি, তবে কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক এমন দিকটি উঠে আসছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে করোনা হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯৬ হাজার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছেন।