সাইফুদ্দিন মল্লিক : দীর্ঘ ছয়মাস করোনা বা কোভিড পরিস্থিতি চলছে রাজ্য ও সমগ্র দেশে। এই অবস্থাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ চিকিৎসা ব্যবস্থা। দীর্ঘ লকডাউন এবং সাথে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর ফলে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব দেখা যাচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রুগী এবং বিভন্ন অপারেশনে রক্ত পাওয়ায় দুস্কর। এমন অবস্থাতে AIMA ( অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশন) সংগঠন তাদের কর্মসূচিতে রক্ত দান সিরিজ কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
আইমা তাঁদের বিভন্ন ইউনিটে রক্তের দান কর্মসূচি অংশ হিসাবে, গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর হাওড়া জেলার “পাঁচলার বেলডুবি” ইউনিটে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। কলকাতার SSKM হাসপাতাল রক্ত দান কর্মসূচিতে রক্ত সংগ্রহ করেন। প্রায় ৫০ আইমা প্রেমী বা রক্তদাতা, রক্ত দান করেন।
রক্তদান অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন আইমার হাওড়া জেলার সম্পাদক কিরমানি কাজী, পাঁচালার বেলডুবি ইউনিটের প্রধান আসিরুদ্দিন খাঁন, আইমা একনিষ্ঠ কর্মী এবং বিশিষ্ঠ সমাজসেবী এস মোল্লা। ছিলেন আইমা কর্মী হাফিজুল রহমান, সাজিদ গায়েন। আব্বাস উদ্দিন মল্লিক, সেখ গোলাম মোর্তজা, জসিম সর্দার, আশিক খাঁন, আজহার সেখ।
কিরমানি কাজী বলেন, “আইমারা সুপ্রিমো সৈয়দ রুহুল আমীন ভাইজানের রক্তের যোগান বা অভাব পূরনের কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে রক্তদানের কর্মসূচি চলছে। বিগত দিনে আমরা আরো ব্লাড ডোনেট ক্যাম্প করছি।”
প্রসঙ্গত, আমরা হাওড়া জেলাতে রক্তের চাহিদা মেটাতে ২৫টি ব্লাড ডোনেট ক্যাম্পের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন আইমা সংগঠন বা সৈয়দ রুহুল আমীন। পাঁচালার ক্যাম্পটি ছিল তিন নম্বর। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আইমার ‘নিমদীঘি বাসুদেবপুর’আইমা ইউনিট প্রথম ক্যাম্পটি হয়। দ্বিতীয় ব্লাড ডোনেট ক্যাম্পটি হয় খালিশানি মালপাড়া ইউনিটে ১৯ সেপ্টেম্বরে। গত আগষ্ট মাস জুড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ১০টির বেশি ব্লাড ডোনেট ক্যাম্প করেন আইমা সংগঠন।