বিরাট ধাক্কা বিজেপিতে! দল ছাড়লেন ২১ বছর বিজেপিতে থাকা রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির প্রার্থী তালিকা এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এরই মধ্যে প্রার্থী তালিকাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরমহলে দানা বেঁধেছে ব্যাপক অসন্তোষ। কারো পছন্দ হয়নি বিজেপির মনোনীত প্রার্থী আবার কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিতে। এবার নিজে বিজেপির টিকেট না পেয়ে দল ছাড়লেন বিজেপি রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্। তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম শ্রীরামপুর এবং চাঁপদানি থেকে। কিন্তু শ্রীরামপুরে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন শঙ্কর বসু এবং চাঁপদানিতে দিলীপ সিং। তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে তার বিজেপি থেকে তার পদত্যাগের বিষয়টি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি লিখেছেন, গত ২১ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। শেষ ইচ্ছা ছিল বিজেপির হয়ে আমার পছন্দের এই দুই কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার। আজ সমস্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম।

ভাস্কর ভট্টাচার্য জানান- ওই দুই আসনে প্রার্থীদের থেকে কোনও অংশে তিনি কম নন ৷ কিন্তু পার্টি তাঁকে এই দু’টো জায়গা থেকেই অযোগ্য মনে করেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘তাই আর পার্টির সঙ্গে থেকে মানসিক ভাবে কাজ করার ক্ষমতা নেই আমার। দলের আদর্শ বইয়ের পাতাতেই রয়েছে।’ তবে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিচ্ছেন না। ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কি না, তা স্পষ্ট না কিরে বলেন, ‘নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা করছি।’

প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ- প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। ক্যানিং পশ্চিমে প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব সেই কেন্দ্রের কর্মী সমর্থকেরা। ক্যানিং পশ্চিমের প্রার্থী অর্নব রায় মাত্র ২৬ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়ে গেছেন। ব্রাত্য রয়ে গেছেন পুরানো কর্মীরা। একইভাবে- মগরাহাট পশ্চিমের প্রার্থী চন্দন নস্করকেও মেনে নিতে পারছেন না সেখানকার বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি কুলপি, মন্দিরবাজার কেন্দ্রের প্রার্থীদেরও পছন্দ নয় একাংশের কর্মীদের। রায়দীঘি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি। যিনি বর্তমানে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং তাঁর আর একটা পরিচয় পূর্বতন কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যরঞ্জন বাপুলির পুত্র। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে রাতারাতি বিজেপিতে যোগ দেন এবং সাথেসাথেই বিজেপির টিকিট পেয়ে যান। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা।

Latest articles

Related articles