ফের একসঙ্গে দু’দফার ভোটের দাবি তৃণমূলের। মঙ্গলবার কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনারকে লিখিত দাবিপত্র দিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে এদিন CEO দফতরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডলরা।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। শহর কলকাতা-সহ জেলায়-জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। ফের এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। হাসপাতালগুলিতে করোনা বেডের আকাল। অক্সিজেনের জোগানও কমছে।
এই পরিস্থিতিতে বড় সভা, সমাবেশ করার ব্যাপারে আগে থেকেই রাশ টেনেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি এবার আর বাংলায় বড় সভা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তার বদলে ছোট-ছোট সভার উপরেই জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। একইভাবে বাম, কংগ্রেসও বড় সভা, সমাবেশ বন্ধ করেছে। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার কালিয়াগঞ্জের সভা সেরেছেন মাত্র ১৫ মিনিটে।
করোনাকালে বাংলার ভোট এবার আট দফায়। যা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। ভোট চলাকালীন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া। এই আবহেও নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। একইসঙ্গে কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে বিজেপিরও। বিজেপির জন্যই বাংলায় করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের নেতারা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বাকি পর্বের নির্বাচনগুলি এক দফায় করারও দাবি জানায় তৃণমূল। যদিও শেষমেশ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভোট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরপর মঙ্গলবার ফের সিইও দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে কমিশনের দফতরে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ফের সপ্তম এবং অষ্টম দফার নির্বাচন একই দিনে করার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে এব্যাপারে একটি দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে শেষ দুই দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।