নিউজ ডেস্ক : ইসকন মন্দির করোনার হটস্পট। শতাধিক ভক্ত ইতিমধ্যেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। একাধিকজন রয়েছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ইতিমধ্যে তিনজন ভক্তর মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখনও মায়াপুর কেন বাইরে থেকে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ হয়নি, সে প্রশ্নও উঠছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না সে প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছর বার বার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইসকন মন্দির। মন্দিরের সমস্ত আবাসিক ভক্তদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে জানা যায় আবাসিকদের অনেকের দেহেই করোনা অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। পরে কোভিড প্রোটোকল মেনেই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মেলে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজো আর দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। থার্মাল স্ক্রিনিং করে ঢুকতে হয় মন্দিরে। মন্দিরের ভিতরে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। মন্দির চত্বরে বেশিক্ষণ বসে থাকার উপরেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয় সকলের জন্য। স্যানিটাইজার এবং দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে বলেও জানানো হয়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এবার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো কঠিনে হচ্ছে।
মায়াপুর ইসকনের এক কর্তা বলেন, ‘অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে তিনজনের। তবে মন্দির এখন ফাঁকা। তেমন লোকজন আসছেন না। কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’ মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও যাঁরা আসছেন সব নিয়ম মেনেই তাঁদের ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। আপাতত মন্দির বন্ধ হচ্ছে না। হলে তা জানানো হবে।’ কৃষ্ণনগরের মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। ওখানে সংক্রমণ বাড়ছে, এটা ঠিক।’