বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করবে মহারাষ্ট্র, মোদী সরকারের বঞ্চনার জবাবে সিদ্ধান্ত উদ্ভব ঠাকরে সরকারের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

luh9379g_rajesh-tope_650x400_09_April_21

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ এ সব থেকে প্রভাবিত রাজ্য হল মহারাষ্ট্র। এখনও প্রতিদিন ৫০,০০০ এর বেশি করোনাভাইরাস এর নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে রাজ্যটিতে। কিন্তু কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনার কারণে রাজ্যটি নিজের অধিবাসীদের দ্রুত টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে পারছে না বলে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এই কারণে রাজ্য টি মোদি সরকারের ভরসা বাদ দিয়ে বিদেশ থেকে করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। মহারাষ্ট্রের জোট সরকার রাজ্যটিতে করোনাভাইরাস এর শৃংখল ছিন্ন করে দৈনিক নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার হ্রাস করার জন্য বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করে দ্রুত ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনার কথা চিন্তাভাবনা করছে। এক্ষেত্রে তারা যুক্তরাজ্যের পদচিহ্ন অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যে গতবছর করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের আবির্ভাবের পর দৈনিক সংক্রমণ শিখরে পৌঁছে ছিল কিন্তু বর্তমানে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় নগণ্য, মৃত্যুর সংখ্যা এক অংকের ঘরে সীমাবদ্ধ। এর মূল কারণ দ্রুত ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি পরিচালনা। বর্তমানের ব্রিটেনের ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ সম্পূর্ণরূপে করনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনাক্রমতা লাভ করেছেন।

 

অন্যদিকে সরকারি হিসাব মতে মহারাষ্ট্রের ১২.০৮ কোটি জনগণের মধ্যে এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি টিকাকরণ এর আওতায় এসেছে মাত্র ১৪.০৯ লক্ষ মানুষ যা রাজ্যটির জনসংখ্যার মাত্র ১.৬% আবার করণা ভ্যাকসিনের একটিমাত্র টোল গ্রহণ করেছেন ১.১২ কোটি মানুষ, যা রাজ্যটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩ শতাংশ। তাই সংক্রমণ রাশের উদ্দেশ্যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানান, আমরা প্রতিদিন ১৭ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে চাই কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বর্তমানে আমরা মাত্র ৩ লক্ষ মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে পারি। সেজন্যই ভারতে উপলব্ধ কভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন ভাইরাসের ওপর ভরসা না করে বিদেশ থেকে মডানা, ফাইজার এবং স্পুটনিক ভি এর মত ভ্যাকসিনগুলো আমদানি করতে চাই মহারাষ্ট্র। এর সাহায্যে দ্রুততম সময়ে সরকার রাজ্যের ৮.৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে চায়। এজন্য রাজ্য সরকারের অন্যসব দপ্তর থেকে অর্থনৈতিক বরাদ্দ কমিয়ে তা স্বাস্থ্য খাতে লাগানো হবে বলেও তিনি জানান।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর