নিউজ ডেস্ক : এই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্থান ছেড়ে বিদায় নিতে চলেছে নাকিন সেনারা। কিন্তু তার আগে থেকেই আফগানিস্থানের প্রায় সব জনপদে শোনা কাছে তালিবানের পদধ্বনি। তাই দেখে ভীত মার্কিন প্রশাসন। বলা হচ্ছে, মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর কাবুলের পতনের মতো বড় কোনো ঘটনা ঘটতে চললে আবার সেনা অভিযান চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে পেন্টাগন।
এর আগে বাইডেন এবং তার শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আফগানিস্তান থেকে একবার সেনা প্রত্যাহার করা হয়ে গেলে, বিমান হামলার সহায়তাও বন্ধ করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তারা জানিয়েছেন, কাবুলের পতন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দূতাবাস ও নাগরিকেরা ঝুঁকিতে পড়েছেন এমন চরম সংকটময় মুহূর্তে যুদ্ধবিমান বা সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আগামী মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সব বিমানঘাঁটি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরপর সেখানে যদি কোনো বিমান হামলা পরিচালনার দরকার হয়, তা করা হবে সম্ভবত উপসাগরীয় অঞ্চলের ঘাঁটিগুলো থেকে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তালেবান বাহিনী সেদেশের প্রায় প্রতিটি শহরে হানা দিয়েছে এবং সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো হুমকি সৃষ্টি করে চলেছে। গত কয়েকদিনে তালিবানের সঙ্গে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বহু জীবনহানি ঘটেছে। তালিবান আফগানিস্থানের বহু জেলা দখল করেছে ইতিমধ্যে। আরো অনেক জায়গায় তারা অভিযান চালাতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে তালিবান সূত্রে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আফগানিস্তান নীতির অনকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্নের একটি হচ্ছে সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র সেখানে বিমান বাহিনীর সহায়তা বজায় রাখবে কিনা সেই প্রশ্নেই আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে নেটো মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন বাইডেন। বাইডেন প্রশাসন ইতিমধ্যেই সেক্রেটারি স্তরের আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানে মার্কিন বিমানবাহিনীর জন্য বিমান ঘাঁটি পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ইমরান খান প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান মার্কিন সেনার জন্য কোনো বিমান ঘাঁটি দেবে না।