মুসলিম বিদ্বেষের ব্যাপারে বিজেপিকে সতর্ক করল বিহারের NDA শরিকরা, বেসুরোরা জোট ছাড়লে পতন নিশ্চিত নীতিশের

নিউজ ডেস্ক : বিজেপির দুর্দিন যে আসন্ন তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিছুদিন আগেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেই লজ্জার হার মিলেছে বাংলায়। কেরালার একমাত্র আসনটি ও হাতছাড়া। তামিলনাড়ুতে জোট করেও সেই হার জুটেছে ভাগ্যে। ভোটের পর ও বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নেতারা ছাড়ছেন বিজেপি। চরম গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে নির্বাচন মুখী উত্তর প্রদেশে ও। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার ঝুঁকির মুখে পড়ল বিহারে NDA জোট সরকার। কারণ, জোটের দুই শরিক হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি এবার বেসুরো গাইছে। আর এবার সেটি সামাল দিতে আসরে নামতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বদের।

কয়েকদিন আগে বিহারের বাঁকা জেলায় একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। আর ওই বিস্ফোরণের পর বিজেপি শিবিরের কয়েকজন নেতা বলতে শুরু করেন, ওই মাদ্রাসাগুলিতে সন্ত্রাসবাদের খাঁটি হয়েছে। আর সেই বক্তব্যের পরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতম রাম মাঝি। বিজেপি নেতাদের এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বিরোধিতার সুর শুনে আসরে নেমেছে আরজেডি। ইতিমধ্যেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের পক্ষ থেকে ইউপিএ-তে আহ্বান জানানো হয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে বিহারে বিজেপির মুখ সুশীল কুমার মোদি জানিয়েছেন জিটম রাম জয় ছাড়বেন না।

অন্যদিকে, অন্য জোটসঙ্গী বিকাশশীল ইনসান পার্টির সুপ্রিমো মুকেশ সাহানি বিজেপিকে তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে টুইটারে লেখেন, এনডিএ শরিকদের উচিত আজেবাজে বয়ানবাজি না করে রাজ্যের ১৯ লক্ষ বেকারের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

উল্লেখ্য, বিহারের মোট আসন ২৪৩টি। তার মধ্যে এনডিএ-এর আসনসংখ্যা ১২৫টি। ম্যাজিক ফিগারের থেকে যা মাত্র ৩ টি বেশি। এদিকে, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির ৪ জন করে মোট ৮ বিধায়ক রয়েছে।‌ সেখান থেকে যদি এই দুই শরিক এনডিএ থেকে বেরিয়ে যায় তবে বিহারের নীতীশ সরকার পড়ে যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা বর্তমান। আর বর্তমান সময়ে যেভাবে বেসুরো গাইছে এই দুই শরিক সেক্ষেত্রে নীতিশ সরকারের পতন অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করছেন অনেকে।

Latest articles

Related articles