নিউজ ডেস্ক : এক নব নির্বাচিত বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ্যের বাকি সব বিধায়ক আমন্ত্রিত হলেও সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র বিধায়ক ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানানো হল না। তিনি এটার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন স্পিকারকে। এমন বৈষম্য মূলক আচরণ চরম অসৌজন্যমূলক বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তাদের অন্যতম প্রধান শত্রু। বিজেপির থেকে কোনো অংশেই ভালো নয় গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, নির্বাচনে জয়ের পর থেকে নিজের নির্বাচনি ক্ষেত্র ভাঙ্গরে যেতে পারেননি তিনি। এর কারণ হিসেবে অভিযোগ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সৈকত মোল্লার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তান্ডবকে।
অন্যদিকে এদিন বিধানসভায় উপস্থিত হলেও সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হলেন না বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর কারণ সম্পর্কে বিজেপি সূত্রে কিছু জানা যায়নি এখনো পর্যন্ত। তবে বাকি সমস্ত বিজেপি বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন বলে জান গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আগেই জলঘোলা হচ্ছিল। তিনি অংশ নিতে নাও পারেন, এমন গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সোমবার সকালে দেখা গেল, বিধানসভায় এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সর্বদলের আগে বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। বিধানসভায় হাজির রয়েছেন মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক। আগে মনোজ টিগ্গাই ছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা।
কিন্তু পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর আর দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তিনি সর্বদল বৈঠকেও ছিলেন না। সর্বদলের পর অধিবেশনের চূড়ান্ত কার্যপদ্ধতি স্থির করতে এদিন দ্বিতীয়ার্ধে যে বিএ কমিটির (BA Committee) বৈঠক রয়েছে, তাতেও বিরোধী দলনেতা থাকবেন না বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল। তবে বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সবাই। তবে তিনি এও বলেন যে সর্বদল বৈঠকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি কাম্য ছিল। তিনি থাকলে ভাল হতো। কারণ, এই বৈঠকেই বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।