সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সংবর্ধনা জ্ঞাপন ও কর্মী সম্মেলন

উজ্জ্বল দাস, আসানসোল -সালানপুর:- আগামী দিনে এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি,চেয়ারম্যান সহ নতুন কমিটির নেতৃত্বরা শুধু ব্লকে ব্লকে নয়,গ্রাম পঞ্চায়েতে,ওয়ার্ডে এবং এমনকি বুথেও মানুষের কাছে পৌছবে। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবে।যেদিন সেই বুথের মানুষ বলবেন আমরা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কে চাই অন্য কোন দল নয়।সেই দিন কিন্তু আমরা প্রকৃত পুরস্কার মানুষের কাছ থেকে পাবো। রবিবার সন্ধ্যায় রূপনারায়ণপুরে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক বিরাট দলীয় কর্মীসভা ও সংবর্ধনা সভায় এমন ভাষায় বক্তব্য রাখেন নতুন জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়।

জেলা পরিষদের সদস্য,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ,সদস্য বা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যারা মানুষের সাথে নেই, নিজের বুথে বা নিজের এলাকায় যেতে পারেন না তাদের নিজে থেকেই সরে যাওয়া উচিত।দল তাদের টিকিট দেবে না।একই সঙ্গে তিনি বলেন আমি অনুরোধ করছি আগামী কাল থেকে আপনারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যান।অন্তত এক ঘণ্টা করে সময় দিন।গত একুশের নির্বাচনে আমি এটা হারে হারে নিজের বিধানসভায় টের পেয়েছিলাম বলেই কারোর উপর নির্ভর না করে আমি বুথে বুথে মানুষের কাছে পৌঁছেছি। তিনি পরিষ্কার করে বলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরোটাই মানুষের ভোটের মাধ্যমে জিততে হবে।সেই জন্য এখনো সময় আছে,কাজ করুন।

তিনি বলেন কর্ম বা কাজ মানে লুট করা নয়।বাবুল সুপ্রিয় দলে যোগ দেওয়ায় তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন আমরা একে অপরের কাঁধে হাত মিলিয়ে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একসাথে উন্নয়ন করবো।অন্যদিকে জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে যারা দলের সাথে বেইমানি করেছিল তাদের অনেককে আজ আমি দেখছি। অন্যান্য ব্লকে বা আসানসোলও ঐ গদ্দারদের দেখেছি।এইসব বেইমানদের চিহ্নিত করা উচিত । এদিন সিপিএম এবং বিজেপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন সিপিএমের আমল থেকেই কিভাবে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে একের পর এক কারখানা আন্দোলনের নামে বন্ধ হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন বিজেপির সরকার একের পর এক শিল্প থেকে কয়লা,মাটি,পাথর,জীবন বীমা,রেল সবই বিক্রি করে দিচ্ছে।আগামী ২৪শের লোকসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে এখন থেকেই তৃণমূল কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুথে বুথে পৌঁছে মানুষকে বোঝানোর কথা বলেন।
এদিনের সভায় বিধান উপাধ্যায় বলেন সালানপুর ব্লকের এই সাফল্যের পিছনে প্রধানত তিনজনের কৃতিত্ব এবং সমস্ত কর্মীদের সহযোগিতার আমি স্যালুট জানাই।এই তিনজন হলেন মুকুল উপাধ্যায় ,মোঃ আরমান ভোলা সিং।এই সভার সঞ্চালনা করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস উকিল।৫৬ টি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিধান উপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেয়া হয়।মঞ্চে ১১জন পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি,সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র,জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মহম্মদ আরমান, সদস্য কৈলাশ পতি মণ্ডল,জেলার যুব সভাপতি কৌশিক মণ্ডল,যুব নেতা মুকুল উপাধ্যায়,সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Latest articles

Related articles