এনবিটিভি ডেস্কঃ আনিস খান হত্যাকাণ্ডে সিটের উপরেই আস্থা রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। জেলা জজের তত্ত্বাবধানে নিহত ছাত্রনেতার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশও দেয় আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতেই ঘটনার সূত্রপাত। আনিসের বাড়িতে সেদিন রাতে গিয়েছিলেন চার জন পুলিশি কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। তিনজন ছাদে উঠে যায়। ছাত্রনেতা আনিস খানকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে নারাজ আনিসের পরিবার।
এদিকে সিট গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা সত্ত্বেও বারবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব আনিসের পরিবার। আনিস হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী কৌস্তূভ বাগচি।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত সিটের উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের তরফে আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। জেলা জজের তত্ত্বাবধানেই কবর থেকে দেহ তুলে করতে হবে ময়নাতদন্ত। আনিসের মোবাইল ফোনটি সিটের তদন্তকারীদের হাতে দিতে রাজি হননি আনিসের পরিজনেরা। তবে হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তের স্বার্থে এবার মোবাইল ফোনটি জেলা জজের মাধ্যমে সিটের হাতে তুলে দিতে হবে।
হাই কোর্টের আরও নির্দেশ দেয়, আনিসের মোবাইলটি হায়দরাবাদে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। মোবাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আনিসের পরিবার অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টিআই প্যারেডের দাবি জানায়। কে কে থাকবেন? কাকে ডাকে হবে টি আই প্যারেডে, তা-ও স্থির করবেন জেলা জজ। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ময়নাতদন্ত এবং মোবাইল নেওয়ার ব্যাপারে আইন অনুযায়ী যা যা করার তা করতে পারবে সিট। হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের বাবা সালাম খান। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি আনিসের দাদা সাবিরের। এদিকে, সিটের উপরেই আস্থা রাখার আবেদন রাজ্য পুলিশের। টুইট করে এদিন সেকথাই জানানো হয়েছে।