আনিসের লাশ তুলতে এসে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ, ধন্ধে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে 

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

ছাত্রনেতা আনিস খান।
ছাত্রনেতা আনিস খান।

এনবিটিভি ডেস্ক: কবর থেকে আনিসের লাশ তুলতে এসে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে ফিরে যেতে হয় পুলিশকে। আজ ভোর ৩,৩০ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। এর কিছুক্ষণ পর এ নিয়ে মুখ খুললেন আনিসের বাবা সালেম আলি খান। তাঁর অভিযোগ সোমবার আনিসের দেহ তোলার অনুমতি দেওয়া হলেও শনিবার ভোররাতে সিট সদস্যদের দেহ তুলতে আসে।

আনিসের মৃতদেহ চুরি করার উদ্দেশ্যেই আধিকারিকরা এসেছিলেন বলেও আনিসের বাবা সালেম আলির দাবি। এই প্রসঙ্গে মৃত আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, ‘‘আমি আদালতের রায় অমান্য করিনি। আদালতের রায় অনুযায়ী দেহ তোলা হবে। সিট-এর সদস্যদের জানিয়েছিলাম যে, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি হতে পারি। সেই জন্য সময় চাইছি।’’

স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও কেন দেহ তুলতে শনিবার ভোরেই হাজির হল পুলিশ? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে থেকে ছেলের দেহ তোলাব। তা নিয়ে আগেই লিখিত জানিয়েছি। তার পরও ওরা রাতের অন্ধকারে চলে এল। এটাকে দেহ চুরি করার উদ্দেশ্য ছাড়া আর কী বলব? আমি সিট-এর উপর আর কী করে বিশ্বাস রাখব?’’

এই বিষয়ে আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, ‘‘বাবা অসুস্থ। সেই কারণেই শুক্রবার সিটের সদস্যরা এলে তাঁদের সোমবার দ্বিতীয় বারের ময়নাতদন্ত করার কথা বলে লিখিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা শনিবার ভোরে দেহ নিতে চলে আসেন। তাঁরা নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন। তাই গ্রামের মানুষরা তাঁদের বাধা দেন।’’

প্রসঙ্গত, ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কবর থেকে আনিসের দেহ না তুলেই ফিরে যেতে বাধ্য হল পুলিশ। শনিবার ভোররাতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসের দেহ আনতে গ্রামে যায় পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পরিবারের তরফে আনিসের বাবা বা অন্য কোনও সদস্যের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। সেখানে ছিলেন স্থানীয় বিডিও এবং বিএমওএইচ। কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া তখনও শুরু হয়নি।

 মাইকিং করে জানানো হয়, আনিসের দেহ তোলা হবে। তার পরেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। আনিসের আত্মীয়-প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযোগ করেন, আগে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে পুলিশের। তারা সোমবার দেহ নিয়ে যাওয়রা কথা জানিয়েছেন। তা হলে শনিবার কাকভোরে কেন পুলিশ এল? সিট-এর প্রতিনিধিরাই বা কোথায়, কার নির্দেশে এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

ভোর রাতে কি ঘটেছিল? দেখে নিন…..

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর