ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন শান্তিপুরের যুবক

সুরজিৎ দাশ, নদীয়া: আজ ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের নবম দিন। রাশিয়ার আক্রমনে ক্রমশ বিধস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। আর এই পরিস্থতিতে প্রায় আটকে রয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার ভারতীয়।সেখানে বর্তমানে করুন অবস্থায় শিকার তারা। ভরত সরকারের উদ্যোগে ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ভরত সরকার। আর এবার নদীয়ার শান্তিপুরের যুবক ইউক্রেনে গিয়েছিল ব্যাবসার উদ্দেশ্যে।ইউক্রেন থেকে ফিরে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন।

চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার শান্তিপুর থানার গবার চর এলাকার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস। পেশায় তাঁত শ্রমিক। দীর্ঘদিন করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতের কাজ বন্ধ ছিল। সেই কারণেই কাজ হারিয়ে প্রায় আর্থিক অনটনে ভুগছিল পরিবার। অবশেষে মাস ছয়েক আগে নিজের বাড়ির তাঁত বিক্রি করে আরো কিছু টাকা সুদে ধার নিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আশা ছিল বেশি আয় করে পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ সেই আশা কেড়ে নিল। কোনরকম প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে সমীর বিশ্বাস বলেন, ইউক্রেন থেকে কোনরকমে পোল্যান্ড বিমানবন্দরের কাছে এসেছিলাম। সেখানে টানা না খাওয়া অবস্থায় প্রায় পাঁচদিন ঘুরে বেড়িয়েছি। অবশেষে ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে কোনরকমে ভারতীয় সেনা কপ্টার দিল্লি বিমানবন্দরে আনে। সেখান থেকে দমদম এয়ারপোর্ট তারপরে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ফিরি।

জীবনে বেঁচে বাড়ি ফিরব সেই আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। অন্যদিকে চিন্তায় খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল সমির বিশ্বাসের পরিবারের। সমীর বিশ্বাস বাড়ি ফেরার পর স্বস্তির শ্বাস মিলেছে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে। তারা সকলেই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার কে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

Latest articles

Related articles