কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডের জেরে সোমবার বন্ধ রাজ্যের সকল বেসরকারি টিকাকরণ ক্যাম্প। রাজ্যের মানুষ যাতে কোনওভাবেই টিকা জালিয়াতির শিকার না হন, তাই সব জেলা শাসকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
তবে সরকারি এং বেসরকারি হাসপাতালে আগের মতোই চলবে কোভিডের ভ্যাকিসিনেশন। প্রসঙ্গত, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডের পর ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন নিতে হলে কলকাতা পুরসভার সমস্ত সেন্টার আছে এবং সরকারি হাসপাতালে সেন্টার হয়েছে সেখান থেকে ভ্যাকসিন নিন। এছাড়া যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর নাম রয়েছে সেখান থেকে ভ্যাকসিন নিন।’ পুরসভার কেউ এই কাজে যুক্ত থাকলে, তাঁর কঠোর শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, টিকা কেন্দ্রগুলিকে অনুমোদিত সিভিসি নম্বর এবং বাধ্যতামূলকভাবে কোউইন সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ভ্যাকসিনগুলি সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে, সেগুলির নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর এবং ডেট অফ এক্সপায়েরি উল্লেখ করতে হবে।
অপরদিকে, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের রহস্যভেদে উত্তর খুঁজছে রাজ্য সরকার। তাই স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তৈরি হচ্ছে চার সদস্যের কমিটি। সেই কমিটিতে থাকবেন চারজন অভিজ্ঞ চিকিত্সক বা বিশেষজ্ঞ। মূলত ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে উত্তর খুঁজবেন তাঁরা। ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডে কার গাফিলতি ছিল, কীভাবে এই ক্যাম্প করলেন দেবাঞ্জন, তা খতিয়ে দেখবেন এই চার সদস্যই। তারপর রিপোর্ট জমা দেবেন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে ১০ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে লালবাজার। গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন সিটের সদস্যরা।