এনবিটিভি ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের জোবা আটপাড়ার উপজাতি এলাকার শিক্ষক দ্বীপ নারায়ণ নায়াক (৩৪) । রাস্তার পাশে ঘরের দেওয়ালকে ব্ল্যাক বোর্ড বানিয়ে বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়ে আসছেন গত এক বছর ধরে। প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপর প্রবল ভাবে পড়েছে। দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ। যদিও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটা কজনেরই বা কপালে জুটবে এই অনলাইন ক্লাস পাড়া-গাঁয়ের শিক্ষার্থীদের।
দেশে করোনার নিশানা মেলে ২০২০ সালে প্রথম দিকে।
করোনার প্রভাব দিন দিন বেড়েই গেছে। মহামারিকে আটকাতে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, থাকবে লকডাউন, যদিও সাধারণ মানুষ এই ‘লকডাউন’ নামক শব্দ এর পূর্বে শোনেনি। ভীত সন্ত্রস্ত জনগন কল্পনায় ভাবতে পারেনি যে, এতো দীর্ঘ দিন থাকতে হবে গৃহবন্দী। দেশে প্রথম লকডাউন হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে।
উল্লেখ্য, গ্রামের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ভাবে শিক্ষা থেকে দূরে না চলে যায় সেটা ভেবে শিক্ষক দ্বীপ নারায়ণ সিদ্ধান্ত নেন গ্রামের গলিতেই বানাবেন শ্রেণীকক্ষ। এলাকার বাচ্চা ছেলে মেয়েদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দান করে আসছে। সঙ্গে থাকছে করোনা সচেতনতার পাঠদান। শিক্ষাদানের উপাদান হিসাবে ল্যাপটপ, মাইক্রোস্কোপ। সঙ্গে রাস্তার ধারের বাড়ীর দেওয়াল গুলোকে বানিয়েছেন ব্ল্যাকবোর্ড। সব মিলিয়ে এই খোলা আকাশের নিচে এক আদর্শ শ্রেণীকক্ষ।
এলাকাবাসীদের নিকট দ্বীপ নারায়ণ এখন ‘রাস্তার মাস্টার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। শিক্ষক বলেন “আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, যতটা শিশুরা এই মহামারী কালে জ্ঞ্যান অর্জন করতে পারে”।