এনবিটিবি কর্নার : নানা আয়োজনে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলার দ্বিতীয় বছর স্মরণ করছে নিউজিল্যান্ড এবং বাকি বিশ্ব। শনিবারে সেদেশের ভিন্ন জায়গায় স্মরণসভায় নিহত ৫১ ব্যক্তির নাম পাঠ করা হয়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডের এখন দায়িত্ব হলো মুসলিম সম্প্রদায়কে নানাভাবে সমর্থন করা। দুই বছর পর ক্রাইস্টচার্চের ওই এলাকায় কয়েকশ লোক সমবেত হন নিহতদের স্মরণে। এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়। একই ধরনের স্মরণসভার আয়োজন করার কথা ছিল গত বছর। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে তা বাতিল করা হয়।
২০১৯ সালে ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে বর্ণবিদ্বেষী হামলাকারীর গুলিতে প্রাণ হারান ৫ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিরীহ মুসলমান। সেদিনের হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ও।
আজ সেদিনের সেই দুঃস্বপ্নের মতো স্মৃতি যাদের তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের মনে একটাই প্রশ্ন উঠছে আমরা কতটা মুক্তি পেলেন ইসলাম বিদ্বেষ থেকে। সত্যিই কি এই বিশ্ব লজ্জিত ওমন ঘটনায় ? সত্যি কি আমরা নিয়েছি কোনো শিক্ষা ওই জঘন্য মানবতা বিরোধী অমানবিক ঘটনা থেকে?? মনে হয় না। কারণ?
আজও শুধু মাত্র মুসলিমদের আঘাত করার জন্যও বিশ্বের বহু মানুষ, সংগঠন এবং রাষ্ট্রের সহযোগিতায় ফ্রান্সের শার্লি হেবদো তৈরি করছে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত করার মতো কার্টুন। আজও সুইজারল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা সর্বত্রই নিষিদ্ধ হচ্ছে ইসলামের পোশাক বিধির অন্যতম অংশ হিজাব। আজও চীন, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে চলছে মুসলিমদের ধর্মহীন করার কুচক্রান্ত। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশেই চলছে পবিত্র কুরআন শরীফের মতো মহান গ্রন্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে আজও হেনস্থা করা হচ্ছে বহু মুসলিমকে। ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরও কানাডা থেকে আফগানিস্থান বহু জায়গায় মসজিদে হামলা করেছে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি গুলো। পবিত্র কুরআন শরীফের অপমান করা হচ্ছে নিত্যদিন বাকস্বাধীনতার নামে। সেদিনের মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্তন টারেন্ট যে মানষিকতার ফসল আজও সে মানসিকতা বিরাজ করছে সারা বিশ্বে এবং দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সেই মানসিকতার মানুষের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্যই তো রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলতে বাধ্য হচ্ছে যে,ইসলাম বিদ্বেষ অতিমারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।