তৃণমূলের পথে এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও! অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

pti6-7-2017-000111b-1632322474

নিউজ ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস একুশের নির্বাচনের পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। ত্রিপুরা, অসম সর্বত্র সংগঠন তৈরি করছে ঘাসফুল শিবির। এবার মুকুল সাংমা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সেটা যদি ঘটে তাহলে উত্তর–পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের বড় ভাঙন ধরবে। মুকুল সাংমা মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন মুকুল সাংমা বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে বলা হচ্ছে।

শুধু একটি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নন মুকুল সাংমা। বরং মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড় নাম। মেঘালয়ে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর তিনি সেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ করছেন। মুকুলকে না জানিয়ে সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালাকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করেছে কংগ্রেস। এখান থেকেই তিক্ততার সূত্রপাত। তাই মুকুল সাংমা বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে একাংশের দাবি।

 

তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় এসে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মুকুল। সাংমার ঘনিষ্ঠ সূত্রেও এই খবর স্বীকার করা হয়েছে। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, “কলকাতায় একটি কাজে গিয়েছিলেন সাংমা। সেখানেই তৃণমূল নেতাদের আথিতেয়তা গ্রহণ করেছেন তিনি। এর মধ্যে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ নেই।” মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ভিনসেন্ট পালাও দাবি করেছেন, মুকুলের সঙ্গে তাঁর কোনও বিবাদ নেই। দলে মুকুল সাংমাকেই নিজের নেতা বলে মনে করেন তিনি।

 

কংগ্রেস যতই অস্বীকার করুক, অভিষেকের সঙ্গে সাংমার এই সাক্ষাৎ রীতিমতো চিন্তায় রাখবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কারণ, সাংমা ‘হাত’ ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখালে, তাঁর পিছু পিছু অনেক কংগ্রেস নেতাই যে ‘হাত’ ছাড়বেন তাতে সংশয় নেই। তৃণমূল এই মুহূর্তে উত্তরপূর্ব ভারতে জমি তৈরি করতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই সুস্মিতা দেবের মতো সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রীকে তাঁরা দলে টেনেছে। ত্রিপুরায় প্রায় প্রতিদিনই কংগ্রেসের কোনও না কোনও নেতা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। গত কয়েক মাসে উত্তরপূর্বের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বলছে, কংগ্রেসকে নয়, বরং বিজেপির বিকল্প হিসাবে তৃণমূলকেই প্রথম পছন্দ হিসাবে বেছে নিচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। এরপর মেঘালয়ে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে তৃণমূল শক্তি বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর