এনবিটিভি ডেস্ক: ২০১৬ ইউরো কাপ জিতেছিল পর্তুগাল। ২০২০-র এই টুর্নামেন্ট জিতেছে ইতালি। এর মধ্যে একদলকে দেখা যাবেনা কাতার বিশ্বকাপে। সরাসরি যোগ্যতা না পেয়ে এই জটিল গ্যাঁড়াকলে পড়েছে এই দল। মার্চের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচের ড্রয়ের পর সমালোচনার ঝড় উঠছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বফুটবলের দুই হেভিওয়েটের মধ্যে যে কোনও একটি দলই পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এই হিসেব সামনে আসার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত ফুটবলপ্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে ইটালি ও পর্তুগাল।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্লে অফ ড্রয়ের পর দেখা যাচ্ছে একই ব্র্যাকেটে (পাথ সি) রয়েছে পর্তুগাল ও ইটালি। আর প্রতিটা ব্র্যাকেট থেকে বিশ্বকাপে যাবে মাত্র একটি দল। ফলে রোনাল্ডো অনুরাগীরা বিশ্বকাপে পর্তুগালকেই দেখতে চাইছেন। আবার ইটালি ভক্তরা চান তাঁদের প্রিয় দলই নামুক বিশ্বমঞ্চে। কয়েকজন যেমন মনে করছেন ইটালির বিশ্বকাপে না খেলাটা বিপর্যয়ের থেকে কম কিছু হবে না। আবার সিআর সেভেনের অনুপস্থিতিকে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটন আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে। আগামী বছরই শেষবার দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে হয়তো দেখা যেত রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo)। সেই আশা পূর্ণ না হলে বিশ্বকাপটাই যে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। মেগা টুর্নামেন্ট হারাবে তার জৌলুস।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্লে-অফে খেলবে মোট ১২টি দল। চারটি করে দল নিয়ে গড়া হবে একটি করে গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের দুটি করে দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে প্রথম ম্যাচ। দুই জয়ী দল খেলবে ফাইনাল। তাদের মধ্যে জয়ী দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। বাকি দলগুলি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না। ২৬ নভেম্বর অর্থাৎ গতকাল এই প্লে-অফের ড্রয়ের পর দেখা যাচ্ছে, প্রথমে পর্তুগাল খেলবে তুরস্কের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উত্তর ম্যাসাডোনিয়ার চ্যালেঞ্জ সামলাবে ইটালি। এই দুই ম্যাচে জয়ী দল খেলবে একে অপরের বিরুদ্ধে।
প্রতিটা বিশেষজ্ঞর দাবি, পাথ সি ব্র্যাকেটের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ইটালি। তারপর আর কী? একটা দলের স্বপ্নপূরণ হবে। আর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন না করতে পারায় অন্য দল ডুববে হতাশায়। ফলে ফুটবল বিশ্বকাপের ১ বছর আগে এই কঠিন সমীকরণ হৃদয় ভেঙে দিয়েছে ইতালি ও পর্তুগালের সমর্থকদের।