বাড়ি থেকে বেরিয়ে মালদা কালিয়াচক থানা এলাকার চৌরঙ্গী সংলগ্ন একটি হোটেলের চিলেকোঠায় ঘর ভাড়া করে প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাচ্ছিলেন গৃহবধূ। এমন সময় স্বামী পুলিশ নিয়ে ওই হোটেলের চিলেকোঠার ঘরে প্রবেশ করে, হাতেনাতে ধরলেন স্ত্রীকে। কালিয়াচক থানার মহিলা পুলিশ, অর্ধনগ্ন অবস্থায় হোটেলের ঘর থেকে পাকড়াও করেন গৃহবধূকে। পুলিশি হানার সময় শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল গৃহবধূ ও তার প্রেমিক। পুলিশের ভয়ে জানালা ভেঙে পলাতক প্রেমিক।
গৃহবধূর স্বামী পুরাতন ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা। ঐদিন কর্মসূত্রে কালিয়াচকে যেতে হয় তাকে। কালিয়াচকে এসে তিনি তার স্ত্রীকে রাজনগর অগ্নুটোলা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে দেখতে পান। সন্দেহ হওয়া মাত্রই দুজনকে পিছু করতে শুরু করেন। এরপর গৃহবধূ ও তার প্রেমিককে কালিয়াচকের হোটেলে ঢুকতে দেখেন স্বামী। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর স্ত্রীকে বেরিয়ে আসতে না দেখে হোটেলের ম্যানেজারকে রেজিস্টার দেখানোর জন্য অনুরোধ জানান স্বামী। হোটেলের ম্যানেজার তা দেখাতে না চাইলে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানান স্বামী। গৃহবধূ ও তার প্রেমিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে থাকাকালীন মহিলা পুলিশ নিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করে স্বামী।

গৃহবধূর স্বামীর বক্তব্য “বিয়ের আগে থেকেই স্ত্রীয়ের একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি আগে জানতাম না। বিয়ের প্রায় ছয় মাস পরে আমি তার একাধিক প্রেমের বিষয়টি জানতে পারি। আমি এসব করতে বারণ করলে সে আমার সঙ্গে অশান্তি শুরু করে। আমার ওপর বেশ কয়েকটি মিথ্যা কেসও দিয়েছিল। এরপরই স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। আমার নামে ভরণ পোষণের মামলা করে। তার কথায় আজ আমি তাকে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখতে পেয়ে হোটেলে গেলেও হোটেলের ম্যানেজার আমাকে হোটেল থেকে বের করে দেয়। এরপরই আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে অর্ধনগ্ন অবস্থায় আমার স্ত্রীকে আটক করে। প্রেমিক জানলা ভেঙে পালিয়ে যায়। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে থানায় জানিয়েছি।”