রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলোর সংখ্যা মোদির ‘সেল’ এর ধাক্কায় ৩৪৮ থেকে কমে পৌঁছবে মাত্র ২৪ এ

নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলির বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিরোধী দল থাকাকালীন মোদি এবং তার দল বিজেপি সবথেকে বেশি আওয়াজ তুলেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ গুলির বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকার গঠনের পর থেকে মোদি সরকার সম্পূর্ণ বিপরীত রাস্তায় হেঁটে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বেসরকারিকরণের চরম পর্যায়ে শোনা যাচ্ছে পূর্বতন সরকারগুলি বিশেষত কংগ্রেস সরকার গুলির দ্বারা তৈরি করা প্রায় ৩৮৪টি পাবলিক সেক্টর ইউনিট বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলোর সংখ্যা মোদি সরকারের ব্যাপক সেল এর ধাক্কায় গিয়ে পৌঁছবে মাত্র ২৪ টিতে।

মোদি সরকারের তরফ থেকে এই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে পাওয়া খবরে জানা গেছে, কেন্দ্র সরকার নীতি আয়োগকে সেই সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলি কে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন যেগুলি বেসরকারিকরণ করা যেতে পারে। মোদি সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী, স্ট্র্যাটেজিক সেক্টর বা কৌশলগত ক্ষেত্রের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলিতে সরকার ন্যূনতম উপস্থিতি বজায় রাখবে এবং বেশিরভাগ শেয়ার বেসরকারি সংস্থা গুলির হাতে তুলে দেবে। আবার যে সমস্ত সংস্থাগুলি অলাভজনক অবস্থায় রয়েছে তাদের পুনর্জীবন দেওয়ার কোন প্রচেষ্টা না করে বন্ধ করে দেয়া হবে। একইভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে অকৌশলগত ক্ষেত্রের বহু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলি কে।

স্ট্র্যাটেজিক সেক্টর হিসাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ গবেষণা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, টেলিকমিউনিকেশন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাংক এবং বিভিন্ন খনিজ উত্তোলন ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত সংস্থা গুলিকে চিহ্নিত করেছেন। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে মোদি সরকার বেসামরিক বিমান পরিবহন, ব্যাংক, এবং টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে ব্যাপক বেসরকারিকরণ সম্পন্ন করেছে। এখনো পর্যন্ত দেশের ১৪ টিরও বেশি বিমানবন্দরকে মোদি সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোর হাতে তুলে দিয়েছে বা দেওয়ার পথে রয়েছে।

Latest articles

Related articles