করোনার প্রভাবে সারা দেশ আজ প্রতিকূল অবস্থায়। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ফোনালাপের কিছুক্ষণ পরেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনালাপটি পুরোপুরি একতরফা ছিল। প্রধামন্ত্রী নাকি হেমন্তকে কোনও কথা বলার সুযোগই দেননি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনালাপের পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন একটি টুইট করে লেখেন,
“শ্রদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীজি ফোন করেছিলেন। উনি শুধু নিজের মন কি বাত শোনালেন। ভালো হত, যদি উনি কাজের কথা বলতেন এবং কাজের কথা শুনতেন।”
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদী হেমন্ত সোরেনকে ফোন করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও কথা শোনেননি বা জিজ্ঞাসা করেননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের কী প্রয়োজন, সেটাও হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসা করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজের কথাই বলে যান। এদিকে রাজ্যে ওষুধের অভাব রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে তা জানানোর সুযোগ পাননি হেমন্ত। তাই তিনি বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত টুইট করেন এই ফোনালাপ নিয়ে।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়েও সুর চড়িয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে ৫৮১টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর ঘোষণা করেছিলেন। তবে এর একটিও ঝাড়খণ্ডে বসানো হবে না।
এদিকে হেমন্ত সোরেনের এই টুইটকে ভালো চোখে নেননি বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, হেমন্ত সোরেনের এই টুইট রাজ্যের মানুষকে অপমান করার সমান। শর্মার দাবি, প্রধানমন্ত্রী মানুষের দুঃখ বুঝতে ফোন করেছিলেন।