নিউজ ডেস্ক : ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন। সে জন্য কলকাতার হেস্টিংসেই দলের ‘সমরকক্ষ’ বানাচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে ঘরহারা হলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের ডোমজুড়ের প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘরের নামফলক সরিয়ে ফেলা হল। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, হেস্টিংস দফতরের ন’তলার ওই ঘরেই এ বার বসবেন ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়ানো রাজীব এখন রাজনীতির মঞ্চ থেকে দৃশ্যত ‘উধাও’। BJP-র কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে এখন আর দেখা যায় না। তাঁর জন্য হেস্টিংসের নয়তলায় BJP অফিসে ৮১১ নম্বর ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই ঘরের দরজায় লাগানো ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেমপ্লেটও। কিন্তু, সেই নেমপ্লেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ভবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে BJP। তাবড় তাবড় BJP নেতারা ভবানীপুরের BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের জন্য প্রচারে নামতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৮১১ নম্বর ঘরটিতে বসবেন প্রিয়াঙ্কা এবং এই ঘর থেকেই ভোট প্রচারের রণকৌশল ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে, রাজীবের প্রত্যাবর্তন হতে পারে তৃণমূল শিবিরে। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই নেতা। গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ভবানীপুর থেকে হেস্টিংস অফিস অনেক সামনে। এই অফিসটি থেকেই প্রিয়াঙ্কা প্রচার সহ অন্যান্য কাজ সামলাবেন। রাজীবের নেমপ্লেট সরানো নিয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করার নেই। কাজের সুবিধার জন্যই এই ঘর প্রিয়াঙ্কাকে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের কথায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেরুয়া শিবির ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে নেমপ্লেট সরানো অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ। গেরুয়া শিবিরের একাংশের ক্ষোভ, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সেভাবে রাজীবকে দেখা যায়নি। দলে তাঁর বর্তমানে বিশেষ কোনও ভূমিকাও নেই। এদিকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় জন্য একাধিকবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কাকে প্রচারের জন্য সাহায্য করতে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। একুশের নির্বাচনে ভবানীপুরে BJP প্রার্থী রুদ্রনীলের উপরেই ভরসা রাখছে রাজ্য নেতৃত্ব।