নিউজ ডেস্ক : ইসলাম বিদ্বেষের জন্য মাঝে মাঝেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। তবে সেই ইসলাম বিদ্বেষকে পুঁজি করে নির্বাচনে লড়াই করে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হল ফ্রান্সের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী দল RNR এর। তারা দেশটির আঞ্চলিক নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি কোথাও। ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান মুসলিম বিদ্বেষী ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর দলও। বৈধ ভোটারদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগেরও কম মানুষ ভোট দিয়েছেন।
তাই এই নির্বাচন তার আগে শক্তি পরীক্ষার সুযোগ ছিল সব রাজনৈতিক দলের সামনে। কিন্তু এই সময় নিজেদের প্রভাব খাটাতে ব্যর্থ হলেন মুসলিম বিদ্বেষী ডানপন্থীরা। কিন্তু এই নির্বাচনে উত্থান হয়েছে মধ্য ডানপন্থী সোস্যালিস্ট এবং রিপাবলিকানদের।
গত সপ্তাহের প্রথম দফা আঞ্চলিক নির্বাচনে খুব খারাপ ফলাফল করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি লা রিপালিক এন মার্চে (এলআরইএম) পার্টি। এবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ২০১৫ সালে সর্বশেষ যখন আঞ্চলিক নির্বাচন হয়েছিল তখন ম্যাক্রোঁর দলের অস্তিত্ব ছিল না। ফলে এবারের আঞ্চলিক নির্বাচন তার দলের জন্য প্রথম। আগামী বছর ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এদিকে নির্বাচনে প্রথমবার আল্পস কোটে ডি’আজুর প্রদেশে বিজয় অর্জন করবেন বলে আশা করেছিলেন মেরি লা পেন। কিন্তু রবিবারের ফল তার সেই আশায় বড় রকমের আঘাত নিয়ে এসেছে। তিনি আশা করেছিলেন, ওই প্রদেশে তিনি বিজয়ী হলে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়ার আশা আরো সমৃদ্ধ হবে।
কিন্তু ওই প্রদেশে আরএনের প্রার্থী থিয়েরি মারিয়ানি হেরে গেছেন রিপাবলিকান রিনাউদ মুসেলিয়েরের কাছে। এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দায়ী করেছেন মেরি লা পেন। তিনি বলেছেন, তাকে ও তার দলকে ক্ষমতায় যাওয়া আটকাতে অস্বাভাবিক এক জোট গঠন করেছিল বিরোধীরা।