নিউজ ডেস্ক : করোনা সংকট মোকাবিলায় মোদির মতো চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী। স্বভাবতই তার ওপর ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। সেই কারণে রাজ্যটিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যোগীকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পেশ না করার পক্ষে মত দিচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা। এবার সেই কাতারে যোগ দিলেন রাজ্যটির উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রাসাদ মৌর্য। তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যোগিকে বিজেপির মুখ হিসেবে দেখছেন না। তার এমন মন্তব্যের পর বিজেপির অভ্যন্তরে দুই ব্লক তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে বাগ বিতন্ডা। এই কোন্দল থামাতে এবার আসরে নামল আরএসএস নেতারা। যোগী নিজে এই ৪ বছরে প্রথম বার কেশব প্রাসাদ মৌর্য এর বাড়িতে যান গত মঙ্গলবার।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সপ্তাহ খানেক আগে বলেন, রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কে বিজেপির মুখ তা এখনও স্থির হয়নি। তা ঠিক করবে দলের হাইকমান্ড। একই সুর শোনা যায় আরেক মন্ত্রী স্বামী প্রাসাদ মৌর্যর গলায়। তিনি বলেন, এই বার নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে নতুন মুখ পেশ করা হতে পারে। এই মন্তব্যের পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ভারতের বৃহত্তম রাজ্যের রাজ্য রাজনীতিতে। যোগী বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে থাকা গেরুয়া কর্মীদের মনোবল আরো তলানিতে ঠেকে যাবে দেখে যোগী এই প্রথম বার উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রাসাদ মৌর্য এর বাড়িতে যান আরএসএস এর বেশ কিছু শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, আরএসএস এর সাধারন সম্পাদক দাত্তত্রেয়া হোসাবালে, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল প্রমুখ। বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সংবাদমাধ্যমের থেকে গোপন করে বিজেপি নেতৃত্ব। বলা হয়, সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কেশব প্রাসাদ মৌর্য এর পুত্রকে আশির্বাদ করতে তাদের গমন।
অন্যদিকে, কেশব প্রাসাদ মৌর্য এর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেন, কেশাবজি রাজ্য রাজনীতির এক কেন্দ্রে নিজেকে রাখতে চান কিন্তু যোগী তার বিরোধিতা করেন। এই জন্যই মতদ্বন্দ। তাই আরএসএস এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের হস্তক্ষেপ। উল্লেখ্য, বিজেপি হাইকমান্ডের বিশেষ দূত হিসেবে এখন উত্তর প্রদেশ সফরে আছেন বি এল সন্তোষ। তবে উত্তর প্রদেশ বিজেপিতে এই গোষ্ঠী কোন্দল প্রশমনে আরএসএস এবং বিজেপির হাইকমান্ডের এই প্রচেষ্টা কতটা সফলতা লাভ করে তা সময় বলে দেবে।