চোপ! বাপের জমিদারি চলছে

~হাফিজুর রহমান, আসোসিয়েট এডিটর, এনবিটিভি

অনেক দিন আগে একটি ফিল্ম দেখেছিলাম নাম জানে ভি দো ইয়ারো। ব্রিজ ভেঙে ১৫০ এর বেশি প্রাণ গেলো সেই আসল ঘটনার সঙ্গে সেদিনের দেখা সেই ফিল্ম এর মিল দেখে অবাক হলাম। জীবন থেকে, চারিপাশে যা ঘটছে তা থেকে উপাদান নিয়ে ভালো ফিল্ম করা যায়, আর এখানে রিললাইফ রিয়াল লাইফকে অনুসরণ করেছে। সিনেমার বিষয়ের সঙ্গে ব্রিজ ভাঙ্গা বা অনেক নিরীহ প্রাণ যাওয়ার হুবহু মিল আছে। সিনেমায় যেমন দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা আছে এখানেও দোষীদের আড়াল করতে এসেছে শাসক দল ও তাদের ধামাধরা প্রশাসন।

প্রথমে লোকের নজর ঘোরাবার জন্য কয়েকজন চুনোপুটি কে গ্রেপ্তার করা হলো, কিন্তু ব্রিজে তালি মারার বরাত পাওয়া মোটা আসামিদের আড়াল করা হলো। এখানেও সিনেমার কপি পেস্ট। এমনকি কাউবয় টুপি পরা বেচারাম যখন তার গুজু ভাই বেন দের মন কি ভাট শোনালে তখন ব্রিজ তালির বরাত পাওয়া ঘড়ি কোম্পানির নাম জ্বল জ্বল করা হোর্ডিং গায়েব করে দেয়া হলো। ওদিকে দিল্লি থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা বারোমাস খাসিলাল আজ বোম ফাটিয়ে দিয়েছে। খাসিলাল অভিযোগ করেছে যে তাকে গুজুতে যেতে মানা করা হয়েছে। না গেলে তার সঙ্গীদের জেল মুক্তি আর তার পেছনে না লাগার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। খাসিলালের আরো নালিশ ওর সঙ্গীদের বিনা দোষে আটকে রেখে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আদালত অভিযোগকারী সরকারি এজেন্সি কে যখন মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ধমকে সঠিক প্রমাণ পেশ করতে বলেছে তখন সেই গুণধর এজেন্সি জজ বদলের আবেদন করে, কেস ঝোলানোর জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে।

এজেন্সির অপব্যবহারের আরেকটি নমুনা এক রেপিস্ট বাবাকে ভোটের আগে ছাড়া হলো ভোট করতে। ফান্দে পড়া নেংটি ইঁদুর বাবা নাচন কোদন করে বেচার দলকে ভোটের নির্দেশ দিল মুরিদদের। আজব গজব যেন দেশ নয় বেচা আর মতলবির জমিদারি। যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, কেউ কিছু বলার নেই। শুধু তাই নয় নির্বাচনে বেচারাম এর দল কে সুবিধা দিতে ভোট ঘোষনার দিন পেছানো হয়েছে।

অভিযোগের প্রমাণ কি? প্রশ্নের জবাবে খাসি টাকা দিয়ে দল ভাঙ্গার গোপন ক্যামেরাবন্দি ফুটেজ দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে খাসির দলের ভাঙন ধরাবার জন্য আস্ফালন করে বলা হচ্ছে দোল ভাঙানোর জন্য এত জনকে এত টাকার অফার দেওয়া হয়েছে! এত কাণ্ড ঘটার পর খাসিলাল চ্যালেঞ্জ করেছে তারা ক্ষমতায় আসছে আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী পাপ্পু ভদ্রের দল ৫টির বেশি সিট পাবে না। এসব বুঝতে মাস খানেক অপেক্ষা করতে হবে। এখন দেখতে হবে কে জেতে, বারোমাস খাসীলাল না গুজিয়াখোর বেচারাম। দিল্লির লাড্ডু কে খায় দেখার জন্য ৮ই ডিসেম্বর অবধি অপেক্ষা করতে হবে।

Latest articles

Related articles