এনবিটিভি ডেস্কঃ বুধবার কর্ণাটকের কোলার জেলায় সরকারি কর্তৃপক্ষের দ্বারা সরকারি জমিতে নির্মিত একটি গির্জা ভেঙে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে কর্ণাটকের কলারে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী গির্জাকে টার্গেট বা লক্ষ্য বস্তু করে ঘৃণা ছড়াতে থাকে। এমনকি গত ডিসেম্বর মাসে এই গির্জার উপরে হামলেও করে। পরে কর্ণাটক হাই কোর্টে আবেদন করায় চলতি সপ্তাহে অবৈধ জমি বলে রায় দেয়। পরে সরকারী কর্তৃপক্ষ সেই গির্জাকে ভেঙে দেয়।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের কোলার জেলার মঙ্গাসন্দ্রা গ্রামে সরকারি জমিতে এই গির্জাটি অনেক বছর পূর্বে তৈরি করা হয়েছিল। খ্রিস্টান ধর্মযাজক ও দুই গ্রামবাসী সরকারি জমিতে গির্জা নির্মাণ করে। এরপর গির্জার জমি দখলে আপত্তি জানায় হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া বাহিনী। যদিও তারা তহসিলদার অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তহসিলদার অফিসের সাথে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে পাবলিক জমি থেকে গির্জাটি সরানোর আদেশ চেয়েছিল৷ এবার কর্ণাটকের হাই কোর্ট বেআইনি ভাবে সরকারী জমি দখল করা হয়েছে বলে জানায়। ফলে বুধবার সেই পুরানো গির্জাকে ভেঙে দেয় সরকারী কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানর ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। উদ্বিগ্ন সুশীল সমাজ। ঠিক একই রাজ্য কর্ণাটকে হিজাব পরে স্কুল কলেজে মুসলিম মেয়েদের প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ খোদ সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দেশে হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থীরা বিভিন্ন কৌশলে অ-হিন্দুদের উপরে নানান ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। কখন ধর্মীও আচারন পালনে কখন ধর্মীও পীঠস্থান গুলি ধ্বংস করে।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচার শেরে আসার পথে মিম সুপ্রিম আসাদ উদ্দিন ওয়াইসিকে হত্যা করার চক্রান্তে তাকে গুলি করে। যদিও শারীরিক কোন ক্ষতি হয়নি তার। সেই দিন দুই দুষ্ক্রীতকে গ্রেফতার করে। সুশীল সমাজের অভিযোগ, ভারতে সাংবিধানিক অধিকার গুলি গোলাটিপে শেষ করছে বর্তমান হিন্দত্ববাদী বিজেপি সরকার।
সূত্রের খবর, কোলার জেলার মঙ্গাসান্দ্রা গ্রামে সম্প্রতি একটি গির্জা তৈরি করা হয়েছে। ফাদার প্রভাকর এবং দুই গ্রামবাসী – হনুমপ্পা এবং জয়প্রভু, যারা সম্প্রতি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, তারা অবৈধভাবে গ্রামের চারণভূমি দখল করেছিল এবং সেখানে একটি গির্জা তৈরি করেছিল।
কর্ণাটকের কোলার জেলার মঙ্গাসন্দ্রা গ্রামে সরকারি জমিতে বেআইনি গির্জাটি তৈরি করা হয়েছিল।
খ্রিস্টান ধর্মযাজক ও দুই গ্রামবাসী অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে গির্জা নির্মাণ করে। এরপর গির্জার জমি দখলে আপত্তি জানায় এলাকাবাসী ও হিন্দুত্ববাদীরা। তারা তহসিলদার অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তহসিলদার অফিসের সাথে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে পাবলিক জমি থেকে গির্জাটি সরানোর আদেশ চেয়েছিল৷
ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে অবৈধ গির্জা
বুধবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ গির্জাটি ধ্বংস করে দেয়
পিটিশনের শুনানি করে, কর্ণাটক হাইকোর্ট সম্প্রতি আদেশ জারি করেছে যে আধিকারিকদের সরকারী জমির বেআইনি দখলের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার অবৈধ গির্জাটি ভেঙে দিয়েছে কোলার কর্তৃপক্ষ।