এনবিটিভি ডেস্কঃ হাজারও কৃষক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ২০২০ সালে নভেম্বর মাস থেকে তিনটি কৃষি বিলের বিরোধিতায় আন্দোলন করে আসছে।উত্তরপ্রদেশের কৃষকও এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ,দীর্ঘদিন ধর্নায় বসে আসছে।কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য নানান ফন্দি আঁটা হয় । চলতি বছরে ৩ অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একদল মিছিলরত কৃষকদের উপরে মন্ত্রিপুত্র ও তার বন্ধু গাড়ি চালিয়ে নৃশংস হত্যা কাণ্ড ঘটায়। এই ঘটনায় অনেক কৃষকের প্রান চলে যায়।
এই হত্যা কাণ্ডের বিষয়টি সম্পর্কে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) প্রতিবেদনে বলা হয়, লখিমপুর খেরির হত্যা কাণ্ডের সময় একটি রাইফেল, একটি রিপিটার বন্দুক সহ একটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল জানায়,“আশিস মিশ্র, অঙ্কিত দাস ও লতিফ ওরফে কালে তাদের ব্যক্তিগত বন্দুক অভিযুক্তদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে । এই হত্যার কয়েক দিন পরেই তাদের ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করা হয়েছে।”
মন্ত্রী পুত্র আশিস মিশ্র দাবি করে জানায় যে,তিনি হত্যার ঘটনার স্থানে উপস্থিত ছিলেন না।যদিও পরবর্তীতে তার দাবিকে উপেক্ষা করে,উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আশিস মিশ্রকে ৯ অক্টোবরে গ্রেপ্তার করে । পাঁচ দিন পরে দাস এবং লতিফকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই ঘটনার মামলা প্রধান অভিযুক্তদের পক্ষে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকদিন পরেই এফএসএল রিপোর্টের বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশের বাইরে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য জোর দিয়েছেন। যাতে তদন্তের সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তত্ত্বাবধান করা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে বলেন,“যদি এটি প্রমাণিত হয় , অস্ত্রগুলি গুলি হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে এটি প্রধান অভিযুক্ত আশীষ মিশ্রের জন্য আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে।“