স্ত্রীর অত্যাচারে আত্মঘাতী হলেন যুবক,এমনই অভিযোগ উঠল বহরমপুরে। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটে ভাগিরথী নদী থেকে মৃত ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকাতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই যুবকের নাম তন্ময় সিংহ ,২৯। তার বাড়ি বহরমপুর থানার সূতির মাঠ এলাকায়। তন্ময় বহরমপুর জজ কোর্টে করণিক পদে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুর থানার পুলিশ খবর পায় বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটের কাছে এক যুবকের প্রাণহীন দেহ ভাসছে। দ্রুত পুলিশ গিয়ে ওই দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে- গত দেড় বছর আগে নবগ্রামের বাসিন্দা মোনালিসা সিংহৈর সাথে বিয়ে হয়েছিল তন্ময়ের। কিন্তু প্রায়শই বিভিন্ন বিষয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। মৃতের বোন অনামিকা সিংহ বলেন,”গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিজের স্কুটি করে সাথে কিছু ফাইলপত্র নিয়ে তন্ময় বাড়ি থেকে বার হয়ে যায়।
তার আগে ও প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা তুলেছিল। রাত দশটা নাগাদ এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আমাদেরকে ফোন ধরে জানায় কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটের কাছে তন্ময়ের স্কুটি, ফাইল, জামাকাপড় এবং মোবাইল দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে রয়েছে। তারপর রাতেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। ”
মৃত যুবকের মা প্রাণাতি সিংহ বলেন, “আমার বউমা বিয়ের পরে থেকেই ছেলেকে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করত। মাঝে মাঝে বৌমা নিজে আত্মহত্যার হুমকি দিত। দু-একবার আত্মহত্যার নাটক করে মোনালিসা নিজের হাত ব্লেড দিয়ে কেটেছিল এবং ঘুমের ওষুধ খাওয়ার নাটক করেছিল। তার সাথে মোনালিসার বাবাও আমার ছেলেকে ফোন করে প্রাণে মেরে ফেলবার হুমকি দিত।”
তিনি দাবি করেন,”মোনালিসা এবং তার পরিবারের জন্য আমার ছেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।” মৃতের মামা রাতুল সরকার বলেন , “তন্ময়ের শেষ কৃত্য হয়ে যাওয়ার পর আমরা মোনালিসার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারি, আত্মহত্যাতে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য।”