করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র অনেকটাই সামলেছে নিজেকে। তবু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা বুলেটিন জানাচ্ছে কেরল ও মহারাষ্ট্রে এখনও ৪০ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এখনও লকডাউন নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হতে চাইছে না মহারাষ্ট্র সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে উদ্ধভ ঠাকরে সরকার জানিয়েছে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে রাজ্য জুড়ে।
মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন গোটা রাজ্যেই লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ভারতে ক্রমশ নামছে করোনার গ্রাফ। পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ার পথে। এবার মনে হচ্ছে দেশ করোনা মুক্ত হতে আর বেশি দেরি নেই। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের ১৪৭টি জেলা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর আসেনি। এই রিপোর্ট গত ২৪ ঘণ্টার নয়। সাত দিনের। এক সপ্তাহ ধরে করোনাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে দেশের এই ১৪৭টি জেলা।
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭ লক্ষ ১ হাজার ১৯৩। বৃহস্পতিবার নতুন করে ১১ হাজার ৬৬৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৪০। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ৭৮ শতাংশ করোনা রোগী কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন।
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, “দেশের ১৪৭টি জেলায় গত ৭ দিনে কোনও করোনা রোগী দেখা যায়নি। তার মধ্যে আবার ১৮টি জেলায় গত ১৪ দিনে কোনও করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৬টি জেলায় ২১ দিনে করোনার নতুন কোনও মামলা নথিভুক্ত হয়নি। ২১টি জেলায় গত ২৮ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত হননি কেউ।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রী এও বলেছেন, ব্রিটেনে যে করোনা স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল ভারতে সেই স্ট্রেনের প্রকোপ কম। এখনও পর্যন্ত এই স্ট্রেন মাত্র ১৫৩ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যাও দেশে ক্রমবর্ধমান। ভারতের সেরে ওঠা রোগীর হার প্রায় ৯৭ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতের করোনা থেকে সুস্থতার হার বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। আজ পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৬ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩০১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং ছাড়া পেয়েছেন।