বাঁশখালী চাঁদপুর বাজারে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20201007-WA0006

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

বাঁশখালী চাঁদপুর ইসলামী জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে চাঁদপুর বাজারে আজ বুধবার (০৭ অক্টোবর ২০২০) বাদ আছর ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সংস্থার সভাপতি হাফেজ ইমরান এর সভাপতিত্বে এবং নুর আহমেদ সিদ্দিকীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অালহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদার।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফয়জুল্লাহ,মাওলানা শরিফুল ইসলাম আজিজি,তরুণ ছড়াকার মু. বেলাল উদ্দীন জালাল ও নুর আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।নোয়াখালী, সিলেটসহ দেশব্যাপি ধর্ষণের বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি বলেন,দেশ আজ ধর্ষণের নরকরাজ্যে পরিণত হয়েছে।স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এখনো আমাদের চোখের সামনে মা বোন ধর্ষিত হচ্ছে।যারা ধর্ষণ করছে তারা সরকারের ছত্রছায়ায় লালিত পালিত।অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের ফাঁসির আইন সংসদে প্রণয়ন করতে হবে।অন্যথায় সাধারণ মানুষ ১৯৭১ সালের ন্যায় রাজপথে নেমে আসবে।স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে ধর্ষকদের ফাঁসির আইনের বিকল্প নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ফয়জুল্লাহ বলেন,দেশে যারা ধর্ষণের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে তাদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সরকার কে কঠিন মাশুল দিতে হবে।তিনি অতীতে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া কে ধর্ষণ সংস্কৃতির জন্য দায়ী বলে মনে করেছেন।
শরিফুল ইসলাম আজিজি বলেন,দেশে মা বোনদের কোন নিরাপত্তা নেই।নিজ বাড়িতেই ধর্ষিত হয় নারী।নারী স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ধর্ষকদের লালসার শিকার হচ্ছে।ধর্ষণ করোনা মহামারী থেকে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তরুণ ছড়াকার মু. বেলাল উদ্দীন জালাল বলেন,ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশ কর্তৃক বাধা প্রদান প্রমাণ করে তারা ধর্ষকদের পাহারাদার।দেশ আজ কঠিন সময় পার করছে।আজ ভারতীয় অাগ্রাসন রোধে সরকার কোন কার্যকরী পদেক্ষেপ নিচ্ছেনা ঠিক তেমনি সরকারের পালিত ধর্ষকদের লাগাম টেনে ধরতেও ব্যর্থ।তিনি আরো বলেন,রাষ্ট্রের মগজ হলো সরকার এই মগজে পচন ধরেছে। সুতরাং এই মগজ দ্রুত কবরে পাঠানো না গেলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবেনা । স্বাধীনতা সংগ্রামের ন্যায় আবারো আম জনতাকে তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে।লেখক,কলামিষ্ট ও সাহিত্যিক নুর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন,চীন,সৌদি, আরব আমিরাত,ইরান,ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ধর্ষকদের শাস্তি ফাঁসি বা মৃত্যু হতে পারলে বাংলাদেশে কেন হতে পারে না? তিনি সংসদে ধর্ষকদের ফাঁসির আইন প্রণয়নের জোর দাবি জানান।তিনি বলেন,১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ আর মা বোনের ইজ্জত অাব্রুর বিনিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা আদৌ অর্থবহ হয়নি।স্বাধীনতা অর্থবহ করতে হলে ধর্ষক,খুনি সন্ত্রাসির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্য হাফেজ ইমরান বলেন,দেশব্যাপি ধর্ষণের যে মহা উৎসব চালু হয়েছে তা সরকারকে কার্যকরী পদেক্ষেপ নিতে হবে।আমরা সাধারণ জনতা শান্তি চাই।দেশর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যদি কখনো প্রয়োজন আবারো স্বাধীনতা সংগ্রামের মত আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তেও পিছপা হবোনা।আজকের মানববন্ধন থেকে সরকারের প্রতি অাবেদন করছি,অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত করুন।মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাহফুজ,মুহাম্মদ সাকিব,হেলাল উদ্দীন আজাদ,মুহাম্মদ এনামুল হাসান,মুহাম্মদ ওয়াহিদ।পরে প্রধান অতিথির মুনাজাতের মধ্যদিয়ে মানববন্ধন সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর