নিউজ ডেস্ক : ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদি সরকার বারবার সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় সবার ব্যক্তিগত জীবন থেকে সামাজিক জীবন, বাকস্বাধীনতা থেকে খাবারের নির্বাচন সবক্ষেত্রেই দখলদারি করার প্রচেষ্টা করে এসেছে। এখনো সেই প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। মোদি সরকার বা তার কোন নেতা মন্ত্রী বা নীতি কর্মসূচির বিরুদ্ধে কথা বলা বা অবস্থান গ্রহণ করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনআইএ, সিবিআই বা ইডি এর মত প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করে করতে একটুও দেরি করেনা মোদি সরকার। কিছুদিন আগেও কৃষক আন্দোলনে সামিল নেতাদেরকে হেনস্থা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম নীতি অবলম্বন করতে দেখা গেছে মোদি সরকারকে। সমাজের সামনে সত্য তুলে ধরার অন্যতম প্রধান মাধ্যম মিডিয়া বর্তমানে প্রায় পুরোটাই মোদি সরকারের তাবেদারে পরিণত হয়েছে। তাই প্রকৃত সত্য এবং জনস্বার্থ সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য বর্তমানে একমাত্র ভরসা সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে কোপ মারতে চলেছে মোদি সরকার।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তার বই “বিকজ ইন্ডিয়া কামস ফাস্ট” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন সরকার বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারে এক নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। বর্তমানে প্রচলিত আইন গুলি সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক শক্তিশালী এক মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে, আর এটা এতটাই শক্তিশালী যে যেকোন সরকারকে পর্যন্ত ফেলে দিতে পারে। তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নতুন নীতি এবং আইন প্রণয়ন একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। মোদি সরকার ইতিমধ্যেই এই দিশায় কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
তার এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে আসলো যখন টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের বিবাদ চলছে। উল্লেখ্য কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করার কারণে বহু টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে টুইটারকে হুকুম জারি করে মোদি সরকার যা পুরোপুরি মানতে অস্বীকার করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সংসদের কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রীর রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ভারতে ব্যবসা করতে গেলে যে কোন সংস্থাকে ভারতের আইন মানতে বাধ্য থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের এমন কোনো আইন নেই যা মোদি সরকারের এমন হুকুমকে সঠিক প্রমাণ করে। সেই জন্যই নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে মোদি সরকার বলে মত অনেকের।