নিউজ ডেস্ক : নতুন গঠিত হতে চলা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এবার ২৯২ টি আসনের মধ্যে ৪২ টিতে জয়ী হলেন মুসলিম প্রার্থীরা। ১ জন ছাড়া বাকি সবাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের তরফ থেকে লড়াই করা নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙ্গড় আসন থেকে জয়লাভ করেছেন। তবে এবারে বঙ্গ বিধানসভায় মুসলিম প্রতিনিধিত্ব গত দুই নির্বাচনের তুলনায় বেশ কমে গিয়েছে। ২০১১ এবং ২০১৬ তে সংখ্যাটি ৫৯ এবং ৫৬ টি ছিল।
এবারে বিধায়কদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে মূলত আইএসএফ এবং বামদলগুলোর মধ্যেকার তৈরি জোট সংযুক্ত মোর্চাকে দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এই বছর সংযুক্ত মোর্চার অংশ হিসেবে বাম দলগুলো এবং কংগ্রেস কোনো আসন লাভ করতে পারেনি। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকী তার দল গঠনের ৩ মাসের মধ্যে বিধানসভায় একটি আসন লাভ করলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি না পাওয়ায় আব্বাস সিদ্দিকীর দলের তরফ থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিহার ভিত্তিক আরএসএমপি এর প্রতীকে।
তবে রাজ্যে ক্রম বর্ধমান ধর্মীয় মেরুকরণের মাঝে বিধানসভায় মুসলিম প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অনেকে। রাজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার মুসলিম এবং অন্তত ১০০ টি আসনে মুসলিমরাই নির্নায়ক ভূমিকা পালন করে। মূলত মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ অনেক আসনে বিজয়ী প্রার্থী নির্ধারণে মুসলিমদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তৃণমূল কংগ্রেস আগমনের পর থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল। তবে এবার শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের পরেই আস্থা রেখেছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা।