অনেক সাহায্য করেছেন ধন্যবাদ, আর দরকার নেই, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বাংলা থেকে দূরে থাকতে বললেন বিরক্ত দিলীপ

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

Dilip-Ghosh-500-PTI-1563028084

নিউজ ডেস্ক : মোদি ম্যাজিক অতীত, কাজ হচ্ছে না অমিত শাহের চানক্য নীতিতেও। বরং সব জায়গায় তাদেরকে এগিয়ে দিয়ে ক্ষতিই হয়েছে বিজেপির মনে করছে রাজ্য বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। আর সেই ভরাডুবি কেন হল তা বিশ্লেষণ করতেই আপাতত ব্যস্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতারা। বঙ্গের ভোটে হার সংক্রান্ত আলোচনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দেন, আপনারা ভোটে অনেকে সাহায্য করেছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর সাহায্য চাই না। এবার থেকে বাংলায় বিজেপির সমস্ত বিষয় আমাদের এখানকার নেতা–কর্মীরাই পরিচালনা করবে।

বঙ্গ বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের মতে, যেভাবে একুশের নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রতিনিয়ত বাংলায় এসেছেন প্রচার করেছেন। সব কিছু পরিচালনা করেছেন তাতে দলের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে তৃণমূল বারবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই বাংলায় আসাকে কটাক্ষ করে গেছে। তৃণমূলের তরফে ভোট প্রচারে বলা হয়েছে বিজেপির বহিরাগতদের ভোট দেবেন না। বিজেপি বহিরাগত দিয়ে ভোট জিততে চায়। আর এই বিষয়েই ভোটবাক্সে পিছিয়ে গেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির বহিরাগতদের ভিড় বাংলার মানুষ যে মানতে পারেননি তা এবার স্পষ্ট বুঝে গেছেন দিলীপ ঘোষের মতো এ রাজ্যের নেতারা। ভোটের হার ছাড়াও বাংলায় ভোটের ফল প্রকাশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। সেই বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সবার আগে বলেই মনে করেন দিলীপ ঘোষ। শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের কর্মী–সমর্থকদের রক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একমত বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

আপাতত বাংলায় বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তরুণ চুঘ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশরা আপাতত রাজ্যে নেই। বিজেপির কর্মীদের মতে, অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল হতে গিয়েই ভোটে নিজেদের জমি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তাই বঙ্গ বিজেপির নেতারাই এবার থেকে দল পরিচালনা করতে চান। মানুষের কাছে রাজ্যের নেতাদেরকেই এবার গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে হবে। এদিকে আবার মুকুল এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে রাজ্যে বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার ব্যাপারে একটা গোপন কিন্তু সুস্পষ্ট উত্তেজনা চলছে বিজেপির অভ্যন্তরে। সে ব্যাপারে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চাইছে না বলেই এই মন্তব্য দিলীপের বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। তাই এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্লা একটু এগিয়ে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুকুলের গ্রহণযোগ্যতা বেশি হলেই রাজ্য স্তরের নেতাদের কাছে শুভেন্দু একটু বেশীই পছন্দের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর