নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দাবি ছিল ২০০ টি আসন। তার বিপরীতে আসন মিলেছে মাত্র ৭৭ টি। গো হারা হারার পরও সুসময় ফেরেনি বিজেপির। সেই ৭৭ জন বিধায়কের পরিবর্তে বিজেপি বিধানসভায় পাচ্ছে মাত্র ৭৪ জন বিধায়ক। কিন্তু আরো কমবে এই সংখ্যা। কারণ, ধারাবাহিক ভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চলা বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে সোমবার বিধানসভায় দেখা যায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে। আর তাতেই বিশ্বজিৎ-বিজেপি দূরত্বের জল্পনা আরও জোরালো হল। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন থাকলেও তাতে যোগ দেননি বাগদার বিজেপি বিধায়ক। তার বদলে নির্মলের ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকতে দেখা যায় বিশ্বজিৎকে। খোশমেজাজে আড্ডা দেন তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে।
তবে তিনি শাসক শিবিরে যাবেন কিনা শীঘ্রই এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘আমি বিধায়ক। জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না। একজন বিধায়ক হিসেবে আমি যেখানে খুশি যেতে পারি এবং যার সঙ্গে খুশি কথা বলতেই পারি।’’
শুধু তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ঘরে যাওয়াই নয়,সোমবার বিশ্বজিৎ যা বলেছেন তা শুনেও বিজেপি শিবির মনে করছে, বাগদার বিধায়ক খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলে চলে যেতে পারেন। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন শুক্রবার দলের সব বিধায়ককে হাজির থাকার হুইপ দিয়েছিল বিপেজি পরিষদীয় দল। যদিও সে দিন ৭০ জন বিধায়ক এসেছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং, পুরুলিয়া এবং কুল্টির বিধায়ক বিভিন্ন কারণে আসতে পারছেন না বলে তাঁরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন বিশ্বজিৎ। তিনি কেন আসছেন না সেটা দল বা শুভেন্দুকে জানাননি। সোমবার রাজ্য বিজেপি ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা অভিযান করে। সেখানেও ছিলেন না বিশ্বজিৎ। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিশ্বজিৎ দাবি করেন, তিনি এমন কোনও কর্মসূচির কথা জানেনই না। রাজ্য বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ফলে তিনি যে শীঘ্রই ফুল পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। চানক্য আরো কিছু বিজেপি নেতা ভাঙিয়ে আনবেন এমন কথা বার বার শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের মুখে। এবার সেই কথাই সত্য হতে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে।