তালিবান সরকারকে পৃথকভাবে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছিল ব্রিটেন। কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখনই আফগানিস্তান নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ব্রিটেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিকেল তার অবস্থা বদলায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজন হলে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে ব্রিটেন। জনসন বলেন, ‘ আমি মানুষজনকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আফগানিস্তানের জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এজন্য প্রয়োজনে তালেবানের সঙ্গে কাজও করবো আমরা। কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি আগের চেয়ে ‘কিছুটা ভালো’ এবং ‘স্থিতিশীল’ হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনছে।
ভারত, জার্মানি, তাজিকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ নিয়ে তৈরি কাতার জোটের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সামরিক শক্তি খাটিয়ে কাবুল দখল করা হলে আফগানিস্তানের সরকারে তালিবানকে মান্যতা দেওয়া হবে না। ঠিক তার উল্টো অবস্থান নিয়ে তালিবান-প্রশ্নে মাথা না-ঘামানোর বার্তাই দিয়েছে চিন। রুশ প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সম্প্রতি বলেন, ‘‘তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মতামত আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।