গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায় বলে দাবি করেছিলেন। বিতর্কের পরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। বরং ‘গোমাতা’র কাছে গিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। শুক্রবার দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন, শত কটাক্ষ-সমালোচনা ধেয়ে আসলেও নিজের মন্তব্য থেকে একচুলও সরছেন না। শুক্রবার হেস্টিংসের বিজেপির দফতরে কিষান মোর্চার অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,’কলকাতা ও আশপাশের জেলায় গো-পালন হয় না। প্যাকেটের দুধটা দুধই নয়। আমি বলেছিলাম গোরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়। তাতে সোনার ছেলেরা ক্ষেপে গিয়েছিল। যে কোনওদিন দুধ খায়নি সে বুঝবে কীভাবে! তাঁদের কষ্টটা আলাদা। বাঙালি এখন দুধ-চা হজম করতে পারে না।
সূত্রের খবর সেখানে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন,‘‘কলকাতা বা তার আশপাশের জেলায় গো-পালন প্রায় হয়ই না। আমরা প্যাকেট দুধ খাচ্ছি। আমি বলেছিলাম, দুধে সোনা পাওয়া যায়। অনেকে তার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু যাঁরা আসল দুধই খাননি, তাঁরা সোনার দর বুঝবেন কীকরে?’’ দুধে সোনা পাওয়ার মন্তব্যে আরও একবার সায় দেওয়ায় ফের একবার বিতর্কের মুখে দিলীপ ঘোষ।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দিলীপবাবু যদি সেই আসল গরুর সন্ধান দিতে পারেন, তাহলে তা নিয়ে গবেষণার ব্যবস্থা হবে।” অতীতের এই মন্তব্যকে আরও একবার আমল দিয়ে ফের বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি।
বছর দুই আগে ৫ নভেম্বর ২০১৯ বর্ধমানের ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’ র সভায় তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। তাই দুধের রং হলুদ হয়।’’ আরও বলেছিলেন, দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।