বিতর্কিত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী অশিন উরাথুকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এই বৌদ্ধ ভিক্ষু তার জাতীয়তাবাদী এবং মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের জন্য কুখ্যাত। তার বিরুদ্ধে বেসামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে এর আগে তার ২৫ বছর জেল হয়েছিল। মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাকে জেলে ঢুকিয়েছিল।মাত্র ৭ বছর জেল খাটার পর সূচি ক্ষমতায় এসে তাকে মুক্ত করেন। কারণ তিনি তখন সূচির কাছের মানুষ ছিলেন বলে গুঞ্জন আছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সামরিক সরকার জানিয়েছে, উইরাথুর বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন থেকেই তিনি মুক্ত। তবে আপাতত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি বলে খবর। কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত ওই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ বলেও কুখ্যাত ওই ভিক্ষু। ২০১২ সালে মায়ানমারের বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। ওই হিংসায় প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উইরাথুর বিরুদ্ধে। তাঁকে একবছরের জন্য ধর্মীয় কাজ থেকে বহিষ্কার করে দেশটিতে বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মসভা। ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বিরাথুর ছবি বের হয়। তাঁকে ‘দ্য ফেস অফ বুদ্ধিস্ট টেরর’ বা বৌদ্ধহ সন্ত্রাসবাদের মুখ বলে অভিহিত করে পত্রিকাটি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আশিন বিরাথুর সঙ্গে বার্মিজ সেনার সম্পর্ক মজবুত। গোড়া থেকেই গণতান্ত্রিক সু কি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ওই ভিক্ষু। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল মায়ানমারের নির্বাচিত অসামরিক সরকার। গত নভেম্বর মাসে আত্মসমর্পণ করার পর থেকেই জেলে ছিলেন ওই সন্ন্যাসী। তারপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা দখল করে বার্মিজ সেনা। আর এবার উইরাথুকে মুক্তি দেওয়া হল।