উজ্জ্বল দাস, আসানসোল: ঘুম থেকে উঠে স্বামী দেখছেন তাঁর বাড়ির বাগানের লিচু গাছে ঝুলছেন তাঁর স্ত্রীর দেহ।এমনই দুঃখজনক ঘটনা ঘটলো সোমবার, রূপনারায়নপুরের নেতাজী কলোনীতে। মৃত বধূর নাম দূর্বা চ্যাটার্জী(৩৬)।স্বামীর নাম সঞ্জয় চ্যাটার্জী। কি কারণে আত্মহত্যা তা মেনে নিতে পারছে না পরিবারের কোনো সদস্য।
পরিবারের তরফে রূপনারায়নপুর ফাঁড়িতে মৃত্যুর অভিযোগ জানিয়ে প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে সঞ্জয়বাবু দেখেন, তাঁদের বাগানের ছোট লিচু গাছ থেকে তাঁর স্ত্রী গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন।কিন্তু পুলিশ দেখতে পায় মৃত দুর্বা দেবীর হাতের শিরা ব্লেড দিয়ে কাটা আছে।আবার লাল কালিতে লেখা একটি সুইসাইড নোটও পুলিশ উদ্ধার করেছে। যেখানে লেখা আছে “আমি…. মামন, আমার সবকিছু ছিল, আমি সেইসব হেলায় হারালাম, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”।
এদিকে দুঃসংবাদ পেয়েই তার বাপের বাড়ি থেকে তাঁর বাবা কৃষ্ণদাস ব্যানার্জি সহ পরিজনেরা ফাঁড়িতে ছুটে আসেন। কৃষ্ণদাস বাবুর অভিযোগ, এই হাতের লেখা তাঁর মেয়ের নয়। তিনি এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানান। যদিও মৃতার স্বামী সঞ্জয় চ্যাটার্জী বলছেন, তিনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাঁদের ১৬ বছরের এক পুত্র আছে।তিনি জানান, কি কারণে এই সিদ্ধান্ত নিলো তাঁর স্ত্রী তিনি তা বুঝতে পারছেন না।কিন্তু জানা গেছে, এই পরিবারের উপর প্রচুর ঋণের বোঝা রয়েছে। এই কারণে আত্মহত্যা কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।