সংরক্ষিত সিট নিয়ে কারচুপি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির পর আবারো সংরক্ষিত সিট নিয়ে কারচুপি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংরক্ষণের নামে চলছে ভাঁওতাবাজী, এমনই অভিযোগ। সরকারি নিয়ম অনুসারে কোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা জেনারেল ক্যাটাগরিতে ভর্তি হওয়ার মত নম্বর পেতে সক্ষম হবেন তাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরিতেই ভর্তি হবেন এবং সংরক্ষিত সিটগুলিতে পরবর্তী সংরক্ষনের আওতাভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ১টা ঘটনার উদাহরন দিয়ে বোঝাই…

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের  হোম ইউনিভারসিটি কোটাতে শেষ যে জেনারেল ক্যান্ডিডেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৫.৬%। শেষ যে OBC-A তে যে ক্যান্ডিডেট ভর্তি হয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬.৭%। এবার OBC-B তে যে ক্যান্ডিডেট ভর্তি হয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭.২%।

অর্থাৎ কোটাতে সুযোগ পাওয়ার থেকে জেনারেলে সুযোগ পাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে।

যে সকল ক্যান্ডিডেট obc a ও obc b  ক্যাটাগরিতে ভর্তি হয়েছে তাঁদের যা প্রাপ্ত নম্বর তাতে তাঁরা অনায়াসেই জেনারেল ক্যাটাগরিতে ভর্তি হতে পারত। আর এদের সবাইকে যদি জেনারেল কোটাতে ভর্তি নেওয়া হত তাহলে আরো ১৭ জন OBC-A এবং আরো ১১ জন OBC-B ক্যাটাগরিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত।

এর আগেও আমরা  কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির পি এইচ ডি তে ভর্তির সময়ও দেখেছিলাম এই রকম অবিচার । পর্যাপ্ত আসন ও যথাযোগ্য ছাত্রছাত্রী থাকা সত্ত্বেও সংরক্ষিত সিটে কোন সংরক্ষনের আওতায় থাকা ছাত্রছাত্রিকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

অর্থাৎ বারংবার দেখা যাচ্ছে সরকার দ্বারা স্বীকৃত সংরক্ষন থেকে পিছিয়ে পরা গোষ্ঠীকে বঞ্চিত করার ১টা প্রবনতা প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। সংরক্ষন নিয়ে খোঁটা দেওয়ার ১টা ট্রেন্ড বহুদিন ধরেই প্রচলিত আমাদের সমাজে। কিন্তু সংরক্ষন কেন প্রয়োজন তা আমাদের দেশের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। তাই এই ধরনের অন্যায় থেকে দেশকে বাঁচাতে জনগণকে আওয়াজ তুলতে হবে।

Latest articles

Related articles