বিনা কারণেই বাড়ছে চালের দামঃ

আতিয়া সুলতানা তাইয়্যিবা
এনবিটিভি নিউজ ডেস্ক

বিনা কারণেই বেড়ে চলছে চালের দাম। সুযোগ বুঝে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মিলারদের সিন্ডিকেট। মিলারদের দোষ দিচ্ছে পাইকাররা। অভিযোগ মানতে রাজি নয় মিলাররা। খাদ্য গবেষকরা মনে করেন, ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও চালের মূল্য বৃদ্ধি বড় রকমের কারসাজি।
দিনাজপুরের চালের বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। ধানের ভরা মৌসুমেও প্রকারভেদে সব ধরনের চাল কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। মিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে দাম বেশি রাখছে বলে আড়তদার ও পাইকারদের অভিযোগ। তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। মিলারদের হিসাব মতে, ধান কিনে চাল করতে প্রতি কেজিতে ৩৬ থেকে ৩৯ টাকা পড়ে। অথচ মিল গেটে সব ধরনের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৮ টাকায়। ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে সেই চাল ৪৬ থেকে ৫১ টাকা কেজি। এ জন্য আড়তদার ও পাইকাররা দোষারোপ করছেন মিলারদের। মিলাররা দাম বেশি ধরছে বলেন,পাইকার ও আড়তদার । তারা প্রতি বস্তায় ১শ’ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। অনেক পার্থক্য ধান ও চালের। উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চাল বিক্রি করা হচ্ছে,অভিযোগ অস্বীকার করে চালকল মালিক বলেন।
মালিক গ্রুপ দিনাজপুরের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন বলেন, অতিরিক্ত দাম বা সিন্ডিকেটের তথ্য সঠিক নয়। আসলে আমরা কোনো ভাবেই দাম সরকারের নির্ধারিত মূল্যে নিয়ে আসতে পারছি না।
গবেষক ড. মাসুদুল হক মনে করেন, কোনো কারণ ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি বন্ধে সরকারের কঠোর নজরদারি দরকার।
তিনি আরও বলেন, চালের দাম বেড়ে গেলে মানুষ খুবই সংকটে পড়ে যাবে। তাই এখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।
জেলায় খাদ্য বিভাগ এবার মিলারদের কাছ থেকে প্রায় ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করবে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়।

Latest articles

Related articles