কলকাতা, ফারুক আহমেদঃ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু। রাজ্য সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দফতরের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিষ্ণু বসুর ছেলে। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য অধ্যয়ন করার পর কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপক রূপে যোগ দেন।
গণকৃষ্টি নামে এক থিয়েটার গ্রুপে সাউন্ড অপারেটর হিসেবে তার নাট্যজীবন শুরু হয়েছিল। পরে তিনি দলের জন্য নাটক লিখতে ও পরিচালনা করতে শুরু করেন। ‘আল্ট্রা-মডার্ন’ নাটক অশালীন (১৯৯৬) তার প্রথম নাটক। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক গুলি হল অরণ্যদেব, শহরইয়ার, উইঙ্কল টুইঙ্কল ও হত্যারহস্যমূলক নাটক চতুষ্কোণ।
১৯৯৮ সালে তিনি শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার ও ২০০০ সালে দিশারী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি ব্রাত্যজন নামে নিজস্ব একটি থিয়েটার গ্রুপ গঠন করেন। ২০০৯ সালে দেবব্রত বিশ্বাসের জীবন অবলম্বনে নির্মিত নাটক রুদ্ধসংগীত তার অনবদ্য সৃষ্টি।
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার একটি সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মাননা। জাতীয় সারস্বত প্রতিষ্ঠান সাহিত্য আকাদেমি কর্তৃক অসামান্য সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদত্ত হয়ে আসছে। ২০২১ সালের সাহিত্য অকাদেমি সম্মানে সম্মানিত হলেন শ্রীব্রাত্য বসু।
উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মারাঠি কবি ও সমালোচক ড. ভালচন্দ্র নেমাডে, সাহিত্য অকাদেমির সভাপতি ড. চন্দ্রশেখর কাম্বার, সাহিত্য আকাদেমির সচিব ড. কে শ্রীনিবাসরাও প্রমুখ।
কবি সুবোধ সরকার লিখেছেন, “একটি হিরণ্ময় সন্ধ্যা। দিল্লিতে। নাট্যকার ব্রাত্য বসুর হাতে আর এক নাট্যকার চন্দ্রশেখর কাম্বার তুলে দিলেন ২০২১ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। অভিনন্দন ব্রাত্য বসুকে। ‘মিরজাফর ও অন্যান্য নাটক’র জন্য এল এই পুরস্কার।”