
পশ্চিমবঙ্গের সরকারী ও সরকার-পোষিত স্কুলগুলিতে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়ে গেছে, কারণ সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি করবে।
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) পরিচালিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আদালতে দাবি করা হয়, এসএসসি প্রকৃত যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করতে ব্যর্থ হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট ২০২৪ সালের ২২শে এপ্রিল এই নিয়োগগুলি অবৈধ ঘোষণা করে, যা রাজ্য সরকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ সোমবার শুনানি নেয়। তবে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য সম্পূর্ণ না হওয়ায় চূড়ান্ত রায় পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া হবে।
দুর্নীতির অভিযোগ ও বিতর্ক
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি ২৪,৬৪০টি পদের জন্য ২৩ লাখ আবেদনকারীর পরীক্ষা নিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৫,৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, যা সন্দেহজনক বলে আদালতে অভিযোগ ওঠে।
হাইকোর্টের রায়ে ওএমআর শিটে কারসাজি, র্যাঙ্ক জাম্পিং-এর মতো অনিয়মের উল্লেখ করা হয়। আদালত এই নিয়োগকে বাতিল করলেও, অনেক প্রার্থী ইতিমধ্যে চাকরিতে যোগ দিয়ে ফেলেছেন এবং নতুন করে পরীক্ষায় বসার বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে, যা তাদের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের উপর ২০২৪ সালের ৭ই মে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলেও, সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
ফেব্রুয়ারির শুনানিতে এই ২৫,৭৫৩ জন কর্মচারীর ভাগ্য চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে, যা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে চলেছে।