যশোরের মনিরামপুরের চরমপন্থী নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় ৫ চরমপন্থী ক্যাডার আটক৷

মো সোহাগ
যশোর প্রতিনিধি

মণিরামপুরে রফিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
‘ঘটনায় জড়িত’ কথিত পাঁচ চরমপন্থীকে গ্রেফতারের পর যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন আজ শনিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৯ জুলাই দুপুরে সন্ত্রাসীরা রফিকুলকে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা (নম্বর ০৬/০৯.০৭.২০২০) করেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতয়ালী, অভয়নগর ও মণিরামপুর থানা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গতকাল শুক্রবার অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হেলাল ভূঁইয়া (২০), মো. সেলিম (২২), হাসান আলী, সমীরণ পাঁড়ে (৫৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮) নামে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যববহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের চরমপন্থী সংগঠন ‘নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি’র সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। নিহত রফিকও একসময় তাদের সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন তাকে টাকা ও মোবাইল ফোন সেট দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে সহযোগীরা।
গ্রেফতার পাঁচজনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্যে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন শিকদার, ডিবি পুলিশের ইনসপেক্টর মারুফ আহমেদসহ পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ জুলাই দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার কুচলিয়া এলাকায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় রফিকুল ইসলামকে। তিনি একই উপজেলার মধুপুর গ্রামের আমারত বিশ্বাসের ছেলে।

Latest articles

Related articles