বাবরি ভেঙে পরিবর্ত হিসেবে তৈরি হতে যাওয়া মসজিদের নাম বাবর বা কোনো মুঘল বাদশাহের নামে রাখা যাবে না!

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210609_203719

নিউজ ডেস্ক : ১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর ভারতের কোটি কোটি দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রপ্রিয় মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের পরোক্ষ সহযোগিতায় হিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের ষড়যন্ত্রে ভাঙ্গা হয় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ। পরে সুপ্রিমকোর্টের আদেশে দেশের সংখ্যাগুরুদের ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে বলি দেওয়া হয় বিশ কোটির বেশি হৃদয়ে আঘাত পাওয়া মুসলমানের ধর্মীয় আবেগকে। তৈরি করার আদেশ দেওয়া হয় রামের নামে বিতর্কিত এক মন্দির। পরিবর্তে লোক দেখানো ভাবে মসজিদ তৈরির জন্য দিতে বলা হয় ৫ একর জায়গা। অযোধ্যার ওই ৫ একর জায়গার প্রয়োজন মুসলমানদের নেই বলে মতামত দেন প্রায় সব শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মুসলিম নেতারা। তবে যোগী সরকারের ঘনিষ্ট কিছু মুসলিম নেতা তৈরি করে ইন্দো ইসলামিক ট্রাস্ট। তাদের চাঁদা তুলে ওই ৫ একর জমিতে একটা মসজিদ তৈরি। অযোধ্যার বাবরি মসজিদের অবস্থান থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে তৈরি হবে বিতর্কিত এই মসজিদটি। মসজিদটি দেখতে বাবরি মসজিদের মতো হোক, অনেকে এই দাবি করলেও তা মানেনি ট্রাস্ট। তারপর অনেকে দাবি করেন অন্তত মসজিদের নাম বাবরি মসজিদ হোক। তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এমনকি ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু বাবর কেন কোনো মুঘল বাদশাহের নামে রাখা যাবে না এই মসজিদের নাম। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রাস্ট যে বিজেপিকে খুশি করতেই এই পুরো পরিকল্পনা কার্যকর করতে চাইছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বলে মতামত প্রকাশ করেন অনেক নেট নাগরিক।

 

 

জানা গিয়েছে পাঁচ একর জমিতে প্রস্তাবিত নতুন মসজিদটির নাম হবে মৌলবী আহমদুল্লা শাহ ফৈজাবাদীর নামে। তিনি সিপাহী বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।

অযোধ্যায় ধননিপুরে পাঁচ একর জমির ওপর তৈরি হতে চলেছে এই নতুন মসজিদ।

 

 

বোর্ডের বক্তব্য ছিল, নতুন এই মসজিদের নাম বাবর বা অন্য কোনও মুঘল সম্রাটের নামে রাখা যাবে না। বোর্ডের কাছে মসজিদের নামকরণ সুফি মসজিদ বা আমন মসজিদ করার প্রস্তাব এলেও বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, এমন একজনের নামে মসজিদের নামকরণ হবে, যাঁর সঙ্গে ইন্দো–ইসলামিক মতাদর্শ মিলে যায়।

 

প্রসঙ্গত, ওই নতুন মসজিদটি জায়গার নামেই ছিল। পরে বোর্ড জানায়, ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের স্বাধীনতা সংগ্রামীর উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে এই মসজিদের নাম রাখা হতে চলেছে। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র আথার হুসেন জানান, বোর্ডের সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে নাম বদল করা হয়। তাঁকে গঙ্গা, যমুনা এবং হিন্দু ও মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়।

 

ওই পাঁচ একর জমিতে মসজিদ ছাড়াও তৈরি হতে চলেছে কমিউনিটি কিচেন, হাসপাতাল, মিউজিয়াম ও ইন্দো–ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর